আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সমাধান মিলবে YES Bank সংকটের, জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআই-এর স্থগিতাদেশের জেরে ২৫% পড়ল YES Bank-এর শেয়ারের দর।
শুক্রবার আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, YES Bank-এর আর্থিক সংকটের দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় YES Bank-এর লেনদেনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মাসে ৫০,০০০ টাকার বেশি তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়।
আরবিআই গভর্নরের দাবি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহত্তর পর্যায়ে এই YES Bank সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, আরবিআই-এর নির্দেশের জেরে শুক্রবার সকালে এক ধাক্কায় ২৫% পড়ে যায় YES Bank-এর শেয়ারদর। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা মুডি’জ কর্পোরেশনের দাবি, আরবিআই-এর স্থগিতাদেশের প্রভাব পড়তে চলেছে ব্যাঙ্কের সব পর্যায়ের গ্রাহকদের। তাদের মতে, YES Bank কর্তৃপক্ষের যথা সময়ে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যর্থতার জেরে সারা ভারতের ব্যাঙ্কিং নীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুম্বই নিবাসী শেয়ার উপদেষ্টা সন্দীপ সাভারওয়ালের দাবি, ‘এই মুহূর্তে YES Bank-এর শেয়ার কার্যত মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত এই শেয়ার কেনাবেচা অন
ুচিত।’গতকাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, YES Bank শেয়ার কেনার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে এসবিআই পরিচালক বোর্ড। সম্ভবত এই ঘোষণার জেরেই এ দিন ১২% পড়েছে এসবিআই শেয়ারের দরও। উল্লেখ্য ২০১২ সালের পরে এদিনই এতটা পতন ঘটল স্টেট ব্যাঙ্কের শেয়ারদরে।