বিদেশে বহু কলেজ ড্রপআউটকে সফল শিল্পপতি হতে দেখা গিয়েছে। তবে ভারতে এরম উদাহরণ খুব বেশি নেই। তবে সেই ছোট তালিকায় অন্যতম নাম নিখিল কামাথ। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ছেড়ে দিয়েছিলেন স্কুল। সেই নিখিল কামাথ ভারতের কনিষ্ঠতম কোটিপতি। তবে সম্প্রতি অন্য এক কারণে খবরের শিরোনামে কামাথ এবং তাঁর সংস্থা জেরোধা।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ এবং মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড কেনাবেচার ব্রোকার হিসেবে কাজ করে নিখিলের সংস্থা জেরোধা। সেই সংস্থা থেকে এখন থেকে নিখিল, তাঁর স্ত্রী সীমা পাটিল এবং তাঁর ভাই নিথিন ১০০ কোটি টাকা করে বেতন পাবেন। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু চর্চা। যা নিয়ে বিরক্ত নিখিল।
সেই প্রসঙ্গেই এবার টুইটারে দীর্ঘ বার্তার মাধ্যমে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নিখিল। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন, 'আমাদের আসল বেতন এর থেকে অনেকটাই কম হবে। প্রোমোটাররা কখনই বেতনের মাধ্যমে লাভের পুরো অংশ তুলে নেয় না সংস্থা থেকে।' তাঁর দাবি, আমরা লাভের একটা অংশ বেতন হিসেবে নিয়ে থাকি। সেটা সংস্থার নগদ প্রবাহ বজায় রেখে সংস্থার ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যেই এই কাজ করা হয়।
২০১৯ সালে জেরোধা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি রূপে আত্মপ্রকাশ করে। সেই সময় থেকে সংস্থার ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ কর্মী সংস্থার শেয়ার হোল্ডার। এম্পলয়ি স্টক ওনারশিপ প্ল্যানের মাধ্যমে এই শেয়ারগুলি রয়েছে কর্মীদের সঙ্গে।
নিখিল কামাথ লেখেন, 'আমরা টেকসই ব্যবসা গড়ে তুলতে চাই। আমরা কর দেই। সমাজ এবং দেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা রেনম্যাটারের মাধ্যমে আমাদের লাভের একটা বড় অংশ প্রদান করি। নতুন যুগের ব্যবসাগুলির মধ্যে আমরা অন্যতম সংস্থা যারা এত বড় পরিমাণে কর জমা করি।'