6th Pay Commission DA Case in High Court: 'ডিএ ইস্যুতে হাই কোর্টের কথা শুনছে না সরকার', বিস্ফোরক দাবি আন্দোলনকারীদের

Updated: 16 Apr 2023, 12:59 PM IST Abhijit Chowdhury

মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ কলকাতার পারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তীব্র গরমের মধ্যেও ধরনা জারি রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। এরই মাঝে সাম্প্রতিককালে আলোচনায় বসার একটি উল্লেখযোগ্য 'পরামর্শ' দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে সেই পরামর্শ অগ্রাহ্য করে বৈঠকের জন্য আহ্বান জানানো হয়নি বলে দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের।

1/5এর আগে গত ৬ এপ্রিল ডিএ সংক্রান্ত এক মামলার প্রেক্ষিতে সরকারকে আলোচনায় বসার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সেই আলোচনা অনুষ্ঠিত করতে বলেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সোমবার, ১৭ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে। (Saikat Paul)

2/5এদিকে সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ায়, আজকের মধ্যেই বৈঠকে বসতে হত সরকার পক্ষ এবং আন্দোলনকারীদের। তবে ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত বৈঠকে বসার জন্য কোনও আহ্বান জানানো হয়নি। যার জেরে স্বভাবতই তারা আশাহত। কারণ আদালত বৈঠকে বসার পরামর্শ দেওয়ার পর সরকারি কর্মীরা আশা করেছিলেন যে সরকার এবার অন্তত তাঁদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসবে। তবে খুব সম্ভবত আজকের মধ্যে সেটা হচ্ছে না। (Saikat Paul)

3/5এর আগে মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম জানতে চান, ডিএ আন্দোলনের জেরে হাসপাতাল-সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার কী অবস্থা। কর্মচারী সংগঠনের তরফের আইনজীবী জানান, সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। পরে দুই পক্ষকেই বৈঠকে বসতে বলেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। (Saikat Paul)

4/5এদিকে শুধু বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়ে থেমে থাকেনি উচ্চ আদালত। সেই আলোচনায় যাতে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ডিএ সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। তবে বৈঠকের জন্য এখনও সরকারের তরফ থেকে কোনও আহ্বন জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ডিএ আন্দোলনকারীদের। (Saikat Paul)

5/5প্রসঙ্গত, কর্মবিরতিতে ক্ষতি ও পরিষেবার ব্যাঘাতের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তিনি বলেন, কর্মবিরতির ফলে ৪৩৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষে আদালতে জানানো হয়, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধির সঙ্গে বসে কথা বলতে চায় তারা। তবে সে ক্ষেত্রে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৩ জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলা যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়নি সরকারের তরফে। আগামিকাল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। (Saikat Paul)