বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Dearness Allowance Protest in Nabanna: নবান্নর ডিএ আন্দোলনকারীদের নিজে চিনে নিতে চান মমতা, নেবেন কি কড়া ব্যবস্থা?
Dearness Allowance Protest in Nabanna: নবান্নর ডিএ আন্দোলনকারীদের নিজে চিনে নিতে চান মমতা, নেবেন কি কড়া ব্যবস্থা? Updated: 17 Mar 2023, 11:19 AM IST Abhijit Chowdhury গতকাল আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নর ১৪ তলায় যাওয়ার আগে ১২ তলায় লিফট থেকে নেমে পড়েন। এর আগে দুই দিন আগেই পাঁচতলায় গিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের কাজ কর্ম দেখেছিলেম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ তারিখের সেই 'সাপ্রাইজ ভিজিটে'র সময় নাকি মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেছিলেন, '১০ মার্চ কারা কারা আসেননি অফিসে?' 1/5 গত ১৫ তারিখ দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ নবান্নের পাঁচ তলায় ৪০৩ নম্বর রুমে ও ৪০৪ নম্বর রুমে যান মমতা। সেখানে গিয়ে জানতে চান ১০ তারিখ কারা কারা কাজে আসেননি। প্রসঙ্গত, মমতা যখন সেখানে ছিলেন, তখন স্বরাষ্ট্র দফতরে হাজিরা ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, যাঁরা সেই সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা জানালেন, অসুস্থ থাকার কারণে ৬ জন আসতে পারেননি। বাকি দুই-একজন ছুটিতে রয়েছেন। 2/5 জানা গিয়েছে, বামপন্থী সরকারি কর্মচারী সংগঠন কোঅর্ডিনেশন কমিটির কারা কারা অফিসে আছেন, তার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। সেই ধর্মঘটের দিন কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কড়া নিয়ম চালু করেছিল রাজ্য সরকার। 3/5 এদিকে গতকাল মমতা অর্থ সচিবের ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ ছিলেন। এরপর তিনি ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ঘরে ঢোকেন। সেই দফতরের ভেতরটি তিনি ঘুরে দেখেন। এরপর অর্থ সচিবকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ১১ তলাতেও একবার যান। তবে এদিন তিনি ঠিক কেন এভাবে অর্থ দফতরে গিয়েছিলেন সেটা পরিস্কার নয়। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে। 4/5 উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা 'ধর্মঘটের অধিকার' আছে। 5/5 এদিকে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের উদ্দেশে সরকারের বিভিন্ন দফতরের তরফে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে।