অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন জারি রেখেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ছাতার তলায় এই আন্দোলন চলছে। বেশ কয়েকবার পথে নেমে আন্দোলন করেছেন তারা। দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতে। এবার ফের পথে নামার হুঁশিয়ারি মঞ্চের।
1/5 উল্লেখ্য, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সরকারি কর্মীদের সংগঠন। গতকাল সেই মামলার শুনানি হয়। গতকাল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে সরকারি ভোট কর্মীদের আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন। এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছেন তারা। অপরদিকে হাই কোর্টও মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে তারাও চায় যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট হয়। তবে কমিশনের মত ভিন্ন।
2/5 এই আবহে আদালতে ফয়সালা না হলে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। গতকাল মামলার শুনানি চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোায়েন করা হবে কি না, তা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। এই আবহে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হলে সরকারি কর্মীরা প্রাণ সংশয়ে ভুগবেন বলে অভিযোগ।
3/5 এর আগে নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন দিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুলেছে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে ভোটকর্মীরা মেল করেছেন। অরদিকে তৃণমূলপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি, রাজ্যে যথেষ্ঠ নিরাপত্তা রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের নোটিফিকেশন অনুযায়ী কাজ করবেন তারা। এরই মাঝে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
4/5 এদিকে গতকাল আদালতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী যুক্তি দেন, সরকারি কর্মীরাই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এর জেরে সরকারি কর্মীদের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে কাজ করতে হয়। ডিএ আন্দোলনকারীদের এর আগে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে শাসকদলের তরফে। তাই সুষ্ঠু ভাবে ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হচ্ছে।
5/5 উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার শাসকদলের বহু নেতা ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করেছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন সরকারি কর্মীদের নিয়ে। তবে আন্দোলন তার জেরে থেমে থাকেনি। এরই মাঝে নবান্ন সহ একাধিক সরকারি দফতরে হাজিরার কড়াকড়ি চালু হয়েছে। তবে আন্দোলন চলছে। এই আবহে পঞ্চায়েত ভোটের সময় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সে কথাই আদালতে তুলে ধরা হয়েছে। এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ফের একবার রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের।