বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Mamata Banerjee on Dearness Allowance: 'সরকারি কর্মীরা ভালো থাকলে...', ডিএ আন্দোলনের মাঝেই বড় বার্তা মমতার
Mamata Banerjee on Dearness Allowance: 'সরকারি কর্মীরা ভালো থাকলে...', ডিএ আন্দোলনের মাঝেই বড় বার্তা মমতার Updated: 21 Feb 2023, 05:06 PM IST Abhijit Chowdhury বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিগত দুই দিন ধরে কর্মবিরতিতে যান সরকারি কর্মীদের একাংশ। বিগত প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গে গিয়ে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা সরাসরি মমতার সরকারকে আক্রমণ শানালেও মমতা বলেন, 'সরকারি কর্মীরা ভালো বন্ধু।' 1/5 আজ মমতা বলেন, 'আজকে টাকা নেই, পয়সা নেই, তাও কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। সরকারি কর্মীরাও আমার বন্ধু। সরকারি কর্মীরা ভাল থাকলে, আমরাও ভালো থাকব।' এর আগেও অবশ্য ডিএ ইস্যুতে ঘুরপথে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মমতা এবং তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার কারণেই ডিএ আটকে সরকারি কর্মীদের। 2/5 এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, 'পেনশন শুধুমাত্র বাংলার সরকার দেয়, আর সবাই তুলে দিয়েছে। রাজ্যের টাকা-পয়সা নেই, তারও কারও কি টাকা বন্ধ হয়েছে ? ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, আমরা নিজেদের টাকায় কাজ করছি। রাস্তার টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। মনে রাখবেন লোভেই সর্বনাশ হয়। সরকারি সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বিনা পয়সায় মেলে। কেউ টাকা চাইলে দেবেন না।' 3/5 এদিকে কর্মবিরতিতে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার আমাদের এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়, আমাদের এইচআর-এর টাকা কেটে নিয়ে ডিএ বলছে। আসলে আমরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলাম না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। আমরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই। 4/5 এদিকে আগামী ১৫ মার্চ ফের ডিএ মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় কার্যকর করার একেবারে শেষলগ্নে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রাখা হয়েছিল ২০ মে'র রায়। 5/5 তারইমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে না দেওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বর হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে রাজ্য জানিয়েছিল যে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার নিষ্পত্তি হলে উচ্চ আদালতে সেই মামলার শুনানি হবে।