আদানিকাণ্ডের তদন্তের জন্য শনিবারই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আরও ৬ মাস চেয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। এরই মধ্যে শনিবার রাতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আদানি গোষ্ঠীর তরফে দাবি করা হল, সুপ্রিম কোর্টে সেবি যে আবেদন ফাইল করেছে, তাতে এমন কিছুই বলা হয়নি যে আদানি গোষ্ঠী কোনও ভুল করেছে।
1/5 এই বিষয়ে আদানি গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র জানান, ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের রিপোর্টে যে দাবি করেছে, তার প্রেক্ষিতে সেবি একটি তদন্ত চালাচ্ছে। তাছাড়া শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর গতিবিধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সেবি। সেবির এই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
2/5 এই বিষয়ে বিবৃতি পেশ করে আদানি গোষ্ঠী বলে, 'আমরা জানতে পেরেছি যে তদন্ত শেষ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে সেবি আরও ৬ মাস সময় চেয়েছে। আমরা এই তদন্তকে স্বাগত জানাই। এর ফলে সবাই নিজেদের দিকটা তুলে ধরতে পারবে এবং কোনও সমস্যা থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আমরা সবসময়ই আইন ও নিয়ম মেনে চলি। আমরা নিশ্চিত যে সত্যিটা সামনে আসবেই।'
3/5 আদানি গোষ্ঠী আরও বলে, 'আমরা সেবি-র সাথে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। এটি লক্ষণীয় যে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা সেবির আবেদনে দেখা গিয়েছে যে তারা কোনও ভুল কাজের খোঁজ পায়নি। সেবির আবেদনটি শুধুমাত্র শর্ট-সেলারের রিপোর্টে উত্থাপিত অভিযোগগুলিকে উদ্ধৃত করেছে। এই অভিযোগ এখনও তদন্তাধীন।'
4/5 আদানি গোষ্ঠীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'আমরা আমাদের ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করছি এবং এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা মিডিয়ার কাছে আবেদন করছি, অযথা কোনও অনুমানের ওপর ভিত্তি করে যাতে কোনও রিপোর্ট না প্রকাশ করা হয়। সেবি এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটিকে তাদের কাজ শেষ করার সময় দিন। দেখুন তাঁরা কী খুঁজে পায়।'
5/5 এদিকে সুপ্রিম কোর্টের থেকে তদন্তের জন্য আরও ৬ মাস সময় চেয়ে সেবি বলেছে, আদানি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত এবং অফশোর সংস্থাগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জটিল লেনদেন। আরও বিস্তারিত ভাবে এগুলির তদন্তের প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এভাবে বাজারে ভুয়ো চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হত। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী।