বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি যখন প্রথম প্রথম কলকাতায় পরিষেবা দিতে শুরু করেছিল, তখন গুচ্ছের অফার দেওয়া হত। তাছাড়া সময়মতো কম ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হত যাত্রীদের। হলুদ ট্যাক্সির চাহিদা কমতে থাকে। তবে বিগত কয়েক বছরে সেই অভিজ্ঞতা বদলেছে। এই আবহে অন্য ভাবনাচিন্তা শুরু করল সরকারও।
1/5মোবাইলের কয়েক ক্লিকেই এসি গাড়িতে করে চড়ার অভিজ্ঞতা ছিল মধুর। এখন তা হয়েছে তিক্ত। গাড়ি বুক করলেও চালকরা যেতে চান না গন্তব্যে। যেতে রাজি হলেও অ্যাপে দেখানো ভাড়া থেকে অতিরিক্ত চেয়ে বসেন। এসি চালান না। এসির জন্য আবার বাড়তি টাকা দিতে হয়। অ্যাপ ক্যাপগুলির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে বিগত কয়েক বছরে।
2/5এই পরিস্থিতিতে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছিল। তবে তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। এই আবহে বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে চাপে রাখতে এবার সরকার নিজেই ট্যাক্সিক অ্যাপ বানাতে চাইছে। জানা গিয়েছে, এই অ্যাপ তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
3/5পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহনের সঙ্গে এই অ্যাপ নিয়ে শনিবার বৈঠক করেন তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমার। কীভাবে এই অ্যাপ তৈরি হবে, তা কীভাবে কাজ করবে, এই সংক্রান্ত একটি রূপরেখা পেশ করা হয় বৈঠকে। জানা গিয়েছে, এই নয়া অ্যাপ ব্যবস্থায় হলুদ ট্যাক্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে পরীক্ষা করতে চাইছে সরকার।
4/5জানা গিয়েছে, যেসকল হলুদ ট্যাক্সির চালকরা হাওড়া স্টেশন ও বিমানবন্দরের প্রিপেড বুথের সঙ্গে যুক্ত, তাদেরকে এই অ্যাপের আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এদিকে নয়া ব্যবস্থায় প্রতিটি ভাড়ার ওপর কমিশন চাপানো হবে না চালককে। প্রাথমিক পরিকল্পনা,সরকার যৎসামান্য টাকা নেবে অ্যাপ পরিষেবা বাবদ। এরপর চালকের পকেটে বেশি টাকা ঢুকবে। অপরদিকে বেশা ভাড়া গুনতে হবে না যাত্রীদেরও।
5/5এদিকে অ্যাপ ক্যাবের সংগঠনগুলি সম্প্রতি ফের সরকারের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে। আবেদন জানানো হয়েছে, বিলাসবহুল ট্যাক্সির ক্ষেত্রে যাতে প্রতি কিমিতে ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা ভাড়াকে 'বেস' হিসেবে ধরা হয়। এদিকে ভাড়ার ৮০ শতাংশ টাকা যাতে চালকদের পকেটে ঢোকে, সে নিয়েও সরব হয়েছে সংগঠনগুলি। এই আবহে মন্ত্রী তাদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।