লোকসভা ভোটের আগে একাধিক ট্রেন পেয়েছে উত্তরবঙ্গ। তবে সেসবই দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে এই সবের মাঝেই এবার দাবি উঠল উত্তরবঙ্গের লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্কের। যেভাবে শিয়ালদা এবং হাওড়াকে ঘিরে লোকাল ট্রেন পরিষেবা প্রদান করা হয়, এনজেপিকে কেন্দ্র করে তেমনই পরিষেবার দাবিতে সরব বাংলা পক্ষ।
1/5 এনজেপি-র পূর্ব দিকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার পর্যন্ত এবং দক্ষিণে বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, মালদা পর্যন্ত রুটে লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্কের দাবিতে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় আন্দোলন গড়ে তুলছে বাংলা পক্ষ। সংগঠনের দাবি, ভোটের মুখে এই দাবি তারা নতুন করে তোলেনি। বরং বিগত পাঁচবছর ধরে ধারাবাহিক ভাবেই এই লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্কের দাবিতে তারা সরব হয়েছে।
2/5 এনজেপি-কে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্কের দাবিতে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছে। সংগঠনের তরফ থেকে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। বাংলা পক্ষের বক্তব্য, বিগত পাঁচবছরে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব কেন্দ্রের সাংসদই ছিলেন বিজেপির। কেন্দ্রে সরকারও তাদের। তাও কেন উত্তরবঙ্গবাসীর এই দাবি পূরণ হল না?
3/5 এমনিতে উত্তরবঙ্গে এক জেলা থেকে অন্য জেলার শহরে যেতে গেলে ভরসা বাস বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তবে সময়ে সময়ে লোকাল ট্রেন থাকলে উত্তরবঙ্গের মানুষজনের যাতায়তে অনেক সুবিধা হবে বলে দাবি। এই পরিস্থিতিত উত্তরের বঞ্চনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে বাংলা পক্ষ।
4/5 গত ১২ মার্চ উত্তরবঙ্গের এনজেপি থেকে পটনা পর্যন্ত একটি বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিকে হোলি উপলক্ষে কয়েকদিন আগে এনজেপি থেকে আসানসোল এবং আসানসোল থেকে এনজেপি রুটে স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করেছিল পূর্ব রেল। এই ট্রেনটি ইতিমধ্যেই দু'টি ট্রিপ করে ফেলেছে। আর বাকি দু'টি ট্রিপ ২৯ এবং ৩০ মার্চ। ২৯ মার্চ এনজেপি থেকে ছেড়ে ট্রেনটি আসানসোল যাবে। আর ৩০ তারিখ আসানসোল থেকে ছেড়ে ট্রেনটি যাবে এনজেপি।
5/5 এদিকে বছরের শুরুতেই শিয়ালদা থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত একটি ট্রেন চালু করা হয়েছিল। নয়া ট্রেনকে দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর জন্য 'মোদীর উপহার' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে মালদা থেকে একটি অমৃত ভারত ট্রেন ইতিমধ্যেই ছুটতে শুরু করেছে। বালুরঘাট থেকেও একটি অমৃত ভারত ট্রেন চালুর দাবিতে দিল্লিতে দরবার করেছিলেন সুকান্ত।