গতকালই ডিএ-এর দাবিতে চলতে থাকা অনশন ভাঙার বার্তা দিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তারপরই ডিএ আন্দোলন নিয়ে মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার স্পষ্ট বার্তা, ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন যেন জারি থাকে।
1/5শুভেন্দু অধিকারী গতকাল রাতে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, অনশন ভাঙা হোক, তবে আন্দোলন জারি থাকুক। রাজভবনের টুইটকে রিটুইট করে শুভেন্দু লেখেন, 'আমি অনশনকারীদের অনুরোধ করছি, রাজভবন এবং রাজ্যপালের সম্মান রক্ষার্থে আপনারা অনশন ভেঙে দিন। কিন্তু, আপনাদের দাবি আদায়ের জন্য যে আন্দোলন চলছে, রাজ্য সরকার যতক্ষণ না সেই সব দাবি মেনে নিচ্ছে ততক্ষণ সেটি যেন চলতে থাকে।' (Utpal Sarkar)
2/5প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে ডিএ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর শনিবার আন্দোলনকারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন তিনি। রাজ্যপালের বার্তা, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে 'গ্রহণযোগ্য' সমাধানের রাস্তা বার করতে হবে। এর জন্য তিনি রাজ্য সরকারের কাছেও অনুরোধ জানান। (Utpal Sarkar)
3/5এই আবহে গতকাল টুইট বার্তায় রাজ্যপাল লেখেন, 'আমি গভীর ভাবে ব্যথিত যে কর্মচারীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করছে। যে কোনও সমস্যা জটিল হতে পারে, কিন্তু সবসময় সমাধানের একটি সহজ উপায় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের ভাইদের মূল্যবান জীবন, যারা তাদের হৃদয়ের কাছাকাছি একটি কারণের জন্য ক্রমাগত অনশন করছেন।' রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস টুইটে আরও লিখেছেন, 'যাঁরা এই বিপজ্জনক অনশনে রয়েছেন, তাঁদের দয়া করে এটি শেষ করার জন্য অনুরোধ করছি এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের এক সঙ্গে বসতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য উপায় খুঁজে বের করার জন্য অনুরোধ করছি।' (Utpal Sarkar)
4/5এদিকে শুক্রবারের ধর্মঘটের পরদিন, শনিবারই একাধিক সরকারি কর্মচারীদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে শোকজ নোটিশ। ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সকল কর্মীদের হাতেই সোমবারের মধ্যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। এদিকে হাতে শোকজ নোটিশ পেয়েও এতটুকু বিচলিচত নন সরকারি কর্মীরা। বরং তাঁরা বলছেন, 'এটাই তো চাইছিলাম'। (Utpal Sarkar)
5/5এই আবহে সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা চাইছিলেন যাতে সরকার তাঁদের শোকজ নোটিশ পাঠাক। তাঁদের কথায়, সরকারের নোটিশের প্রেক্ষিতে এবার তাঁরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। (Utpal Sarkar)