বিগত কয়েক বঠর ধরেই চিন সীমান্তের কাছে পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে ভারত। এর জেরে উত্তরাখণ্ডে চারধাম পর্যন্ত চওড়া জাতীয় সড়কও নির্মাণ করা হচ্ছে। আবার বহু প্রত্যন্ত এলাকায় তৈরি হয়েছে রাস্তা এবং সেতু। চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত তেমনই একটি সেতু এখন 'হুমকির মুখে'।
1/5 বর্ডার রোড অর্গনাইজেশনের তরফে রবিবার জানানো হয়, ভারত-চিন সীমান্তের কাছেই মলারি গ্রাম সংলগ্ন উপত্যকায় অবস্থিত একটি সেতু হুমকির মুখে। কারণ? বর্ষার তীব্রতায় নদীর জলস্তর বৃদ্ধি। উল্লেখ্য, এবছর বর্ষা দেরিতে প্রবেশ করেছে দেশে। তবে উত্তর ভারতে বর্ষার প্রলয়ঙ্কারী রূপ দেখা গিয়েছে। এই আবহে ফুঁসছে পাহাড়ি নদীগুলি। আর তাতেই উদ্বিগ্ন বিআরও।
2/5 যোশীমঠ থেকে মলারি পর্যন্ত হাইওয়েতে বৃষ্টির কারণে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল বেশ কিছু দিন। তবে চমোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা জানান, রবিবার ফের যান চলাচল শুরু হয়েছে এই হাইওয়েতে। এই রুটেই পড়ে সেনার নির্মিত সেই সেতুটি। এদিকে যান চলাচল চালু হলেও তা কতদিন জারি থাকবে সেই নিয়ে কোনও আলোকপাত করতে পারেনি প্রশাসন। আবহাওয়া বিগড়ে গেলে ফের এই রুটে যান চলাচল বন্ধ করা হবে।
3/5 উল্লেখ্য, মলারি হল চমোলি জেলায় অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম। যোশীমঠের কাছেই এই গ্রামটি। ভারত-চিন সীমান্তের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এটি অবস্থিত বলে কৌশলগত দিক থেকে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই আবহে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মলারি গ্রামের ৯ কিমি আগে উপত্যকায় অবস্থিত একটি সেতু 'হুমকির মুখে' দাঁড়িয়ে। সেখানে নদীর তীব্র বেগের কারণে এই উদ্বেগ।
4/5 এর আগে গত ১০ জুলাই চমোলি জেলার জুম্মা গ্রামের কাছে একটি সেতুকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ফুঁসতে থাকা নদীর স্রোত। এর জেরে সীমান্ত লাগোয়া বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। প্রবল বৃষ্টির জেরে বহু জায়গাতেই হড়পা বান হচ্ছে। তবে সেই সেতুটি এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিআরও। আপৎকালীন তৎপরতায় হিউম পাইপ কাজে লাগিয়ে ব্রিজটিকে ফের সচল করা হয়েছে। এই আবহে জুম্মা গ্রামের কাছে হাইওয়েতে ফের যান চলাচল শুরু হয়েছে।
5/5 এদিকে উত্তরাখণ্ডের পিপালকোটি গ্রামের কাছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক নং ৭-এ ধ্বংসাবশেষ না সরানোর জন্য এক প্রোজেক্ট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে চমোলি জেলার পুলিশ। এই নিয়ে চমোলি জেলার পুলিশ সুপার প্রমেন্দ্র ধোবোল জানান, এনকেজি কোম্পানির গজেন্দ্র গৌড়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই সংস্থাই বদ্রীনাথের 'অল ওয়েদার হাইওয়ে' নির্মাণের দায়িত্বে ছিল। এদিকে ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যমুনোত্রী হাইওয়ে। সেখানে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফের যান চলাচল চালুর প্রচেষ্টা চলছ বলে জানা গিয়েছে।