বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > China Coronavirus Wave: এ যেন সংক্রমণের সুনামি! অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড চিনে, একদিনে কোভিড আক্রান্ত ৩.৭ কোটি
China Coronavirus Wave: এ যেন সংক্রমণের সুনামি! অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড চিনে, একদিনে কোভিড আক্রান্ত ৩.৭ কোটি Updated: 24 Dec 2022, 08:41 AM IST Abhijit Chowdhury বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চিনে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত খবরের শিরোনামে থেকেছে। যদিও সেখানকার সরকার সেই সব তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনে একদিনে ৩.৭ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সপ্তাহেরই কোনও একদিন এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড গড়ে চিন। চিনের এই কোভিড বিস্ফোরণ সম্পর্কে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ব্লুমবার্গে। 1/5 হিসেব বলছে ডিসেম্বরে এখনও পর্যন্ত চিনে ২৪.৮ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন চিনে। দেশটির জনসংখ্যার ১৮ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বিগত এই কয়েকদিনে। এর আগে চিনে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। আগামীতে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানুয়ারি শুরু হতে হতে চিনে দৈনিক সংক্রমের হার ৪ কোটি ছুঁতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। 2/5 ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০ ডিসেম্বর চিনে ৩.৭ কোটি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে চিনের সরকারি হিসেব বলছে, সেদিন সেদেশে ৩০৪৯ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এক বৈঠক থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন চিনা স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান মা শাওয়েই নিজে। এদিকে চিনে কোভিড মৃত্যুর স্পষ্ট ধারণা এখনও মেলেনি। 3/5 চিনা আধিকারিকরা দাবি করেছেন, চিনা রাজধানী বেজিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে ভয়াবহ হারে কোভিড ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই নিয়ম করে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এবারের সংক্রমণের ঢেউতে শহুরে এলাকার গণ্ডি পার করে গ্রামীণ অঞ্চলেও করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে চিনের সবকটি করোনা ঢেউতে মূলত শহুরে অঞ্চলেই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। 4/5 সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত বেশ কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে আগামী কয়েক মাসে চিনে কোভিড অতিমারির তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়বে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ এই সংক্রমণের ঢেউতে প্রাণ হারাবেন। এই আবহে চিনের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচনা হচ্ছে বেজিংয়ের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও চিনকে আবেদন করা হয়েছে যাতে তারা তথ্য গোপন না করে। 5/5 রিপোর্টে দাবি করা হয়, চিনে তৈরি নিম্নমানের টিকার কারণে সেদেশের জনগণের শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু রেকর্ড করার পদ্ধতি বদলে গিয়েছে। শুধুমাত্র সেই সব রোগীকেই কোভিডে মৃত বলে গণ্য করা হচ্ছে, যাদের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে এবং নিঃশ্বাসজনিত সমস্যার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য দেশে স্বভাবতই এই ভাবে কোভিড মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। এই আবহে সরকারি স্তরে কোভিড নিয়ে তথ্য গোপন করছে চিন।