এই প্রথমবার জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে গেলেন শি জিনপিং। তাঁর বদলে চিনের প্রিমিয়র লি কিয়াং তাঁর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন দিল্লির সম্মেলনে। সেই সম্মেলনেই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় দিল্লি ঘোষণাপত্র। তবে এই নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিল বেজিং। তবে এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলল তারা।
1/5 দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র নিয়ে মুখ খুলল চিন। বেজিংয়ের বক্তব্য, এই ঘোষণাপত্র 'ইতিবাচক বার্তা' পাঠিয়েছে। চিনের কথায়, এই ঘোষণাপত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে যে এই প্রভাবশালী গোষ্ঠী বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবিলা করতে একসঙ্গে কাজ করছে। বিশ্ব অর্থনীতিকে একসঙ্গে এগিয়ে নিতে চায় এই সবকটি দেশ।
2/5 চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, 'জি২০ সম্মেলনের যে ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে, তা থেকে চিনের অবস্থান প্রতিফলিত হচ্ছে। আমরা একসঙ্গে মিলে ইতিবাচক কাজ করতে চাই। এই ঘোষণাপত্র একটি ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে যে বিশ্ব অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং উন্নয়নের স্বার্থে এই গোষ্ঠীর সবাই মিলেমিশে কাজ করবে। এই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে চিনও ভূমিকা গ্রহণ করেছে।'
3/5 এদিকে ঘোষণাপত্রে সরাসরি রশিয়ার সমালোনা না করার প্রসঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'এই ঘোষণাপত্র আলোচনার মাধ্যমে সব দেশ গ্রহণ করেছে। এই ঘোষণাপত্র থেকে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে জি২০ গোষ্ঠী হল বিশ্ব অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফোরাম। ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার মঞ্চ এটা নয়। ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য ঠান্ডা যুদ্ধের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেই চিন মনে করে। আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব।'
4/5 উল্লেখ্য, গত ২৮ অগস্ট নিজেদের 'স্ট্যান্ডার্ড' মানচিত্র প্রকাশ করেছিল চিন। তাতে অরুণাচলপ্রদেশ এবং আকসাই চিনকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবেই দেখিয়েছে বেজিং। এই নিয়ে ভারত আপত্তি জানিয়েছিল। পরে ভারতের দলে যোগ দিয়ে চিনের সেই মানচিত্রকে প্রত্যাখ্যান করে আরও চারটি দেশ। ফিলিপিন্স, মালয়শিয়া, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম চিনের এই মানচিত্র নিয়ে আপত্তি জানায়। এই মানচিত্র বিতর্কের মাঝেই জানা যায়, জিনপিং জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসবেন না।
5/5 এদিকে এরই মাঝে শত জটিলতা কাটিয়ে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে সম্মতি জানায় চিন সহ সবকটি দেশ। এর আগে গতবার বালিতে যখন জি২০ সম্মেলন হয়েছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি সব দেশ। আমেরিকার মতো দেশ যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার উপর যাবতীয় দোষ চাপিয়েছিল। তবে সেই পথে হাঁটেনি ভারত। এবার ভারতের সভাপতিত্বে অবশ্য যুদ্ধের জন্য শুধু রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়নি। ঘোষণাপত্রে ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর বদলে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়। আর এতেই সব দেশ ঐক্যমতে আসতে পেরেছে।