ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাব বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। এই আবহে শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েও দিয়েছিল ভারত। তা সত্ত্বেও ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’। এই পরিস্থিতিতে ভারতের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে চিনা জাহাজ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল শ্রীলঙ্কা সরকার।
1/5 গতবছরই চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছিল। সেটি শ্রীলঙ্কার বন্দরে থেমেছিল। তা নিয়ে কলম্বো এবং দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। এই আবহে এবছরও চিনের আরও একটি গুপ্তচর জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে। এবারও এই চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কার বন্দরে প্রবেশ করার কথা ছিল। তবে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত চিনা জাহাজকে নিজেদে বন্দরে আসতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা।
2/5 এই আবহে শ্রীলঙ্কার বন্দরে বিদেশি জাহাজের প্রবেশ নিয়ে না নীতি বা এসওপি প্রকশ করতে চলছে কলম্বো। জানা গিয়েছে, ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখেই নয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করতে উদ্যত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে সামরিক জাহাজের ক্ষেত্রে বেশি করে প্রযোজ্য হবে শ্রীলঙ্কার এই নয়া নীতি। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার পর চিনের নজরে এখন ভারত মহাসাগর। আফ্রিকা পর্যন্ত গোটা জলপথেই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া বেজিং। এই আবহে শ্রীলঙ্কাকে 'ব্যবহার' করছে তারা।
3/5 গতবছর চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ এসেছিল শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে। এরপর চলতি বছরেরই অগস্ট মাসে শ্রীলঙ্কায় নোঙর ফেলেছিল পিএলএ-র জাহাজ 'হাই ইয়াং ২৪ হাও'। এদিকে ভারত মহাসাগরের তীরে নিজেদের মিসাইল পরীক্ষণ চালিয়ে থাকে ভারত। এই আবহে নজরদারি ক্ষমতা সম্পন্ন চিনা জাহাজ ভারতের উপকূলের এত কাছে চলে আসায় স্বভাবতই উদ্বিগ্ন দিল্লি।
4/5 এই আবহে নিজেদের বন্দর নিয়ে নয়া নীতি প্রকাশ করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা। রিপোর্ট অনুযায়ী, নয়া নীতিতে স্পষ্ট করে বলা থাকবে যে কোন কোন জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরে আসতে পারবে, এবং সেগুলি এলেও সর্বোচ্চ কতদিন সেখানে থাকতে পারবে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কার জলসীমায় ভিন দেশের জাহাজ কী কী ধরনের কার্যকলাপ করতে পারবে তাও নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা থাকবে এই নয়া নীতিমালায়।
5/5 শ্রীলঙ্কার বন্দরে একের পর এক চিনা জাহাজ নোঙর করা নিয়ে ব্যাপক আপত্তি তোলা হয়েছিল ভারতের তরফে। প্রশ্ন তোলা হয় এই জাহাজগুলির উদ্দেশ্য নিয়ে। কারণ শ্রীলঙ্কার যে বন্দরে এই জাহাজগুলি নোঙর করছে বা করতে চায়, তার খুবই কাছে ভারতের নৌঘাঁটি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফ্রিকার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত কোনও এক সমুদ্র পথের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। এই নতুন জলপথ খুলে গেলে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মধ্যপরাচ্য বা পূর্ব আফরিকায় সহজেই পৌঁছে যাবে চিনা জাহাজ। এর ফলে ওই অঞ্চলগুলিতে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তারা। আর এই সম্ভাবনার মাঝে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার নয়া নীতিমালা তৈরি করেছে। তবে তাতে কতটা কাজ হয়, এখন সেদিকেই নজর দিল্লির।