বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > EPFO data breach: EPFO-র ফাঁস হওয়া তথ্যের 'রিপ্যাকেজিং' চিনা সংস্থার, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে
EPFO data breach: EPFO-র ফাঁস হওয়া তথ্যের 'রিপ্যাকেজিং' চিনা সংস্থার, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে Updated: 22 Feb 2024, 01:50 PM IST Abhijit Chowdhury ২০১৮ সালে ইপিএফও থেকে সাইবার অপরাধীরা অনেক তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল এক ডিজিটাল হামলার মাধ্যমে। সেই সব তথ্য নতুন মোড়কে সাজিয়ে অনলাইনে ফাঁস করেছে চিনের সাইবার সংস্থা। এই আবহে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা 'ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম'। 1/5 গত ২০১৮ সালে ইপিএফও-র থেকে ডিজিটাল তথ্য ফাঁস হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় ইপিএফও দাবি করেছিল, তাদের সার্ভার থেকে নয়, বরং 'কমন সার্ভিসেস সেন্টার' থেকে এই সব তথ্য ফাঁস হয়েছিল। এই গোটা ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রী ইলেকট্রনিক এবং আইটি মন্ত্রকের অধীনে থাকা 'ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম' বা 'সার্ট-ইন'। 2/5 এই আবহে সম্প্রতি 'গিটহাব'-এ ভারতের লাখ লাখ মানুষের তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসে। এবং চিনা সাইবার সংস্থার তরফ থেকে এই সব তথ্য ফাঁস করা হয়েছে। এই আবহে দাবি করা হচ্ছে, এই সব তথ্য হাতানোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে হয়ত চিনেরই হাত ছিল। কিংবা পরবর্তী সময়ে সেই তথ্য চিন হাতিয়ে নেয়। 3/5 এদিকে শুধুমাত্র ইপিএফও নয়, বরং বিএসএনএল ব্যবহারকারীদের তথ্যও প্রকাশ করেছে চিনা সাইবার সংস্থা। এছাড়া এয়ার ইন্ডিয়া এবং রিলায়েন্সের গ্রাহকদের তথ্যও ফাঁস হয়েছে 'গিটহাব'-এ। এই পরিস্থিতিত এই ভারতীয় সংস্থাগুলিও সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে 'সার্ট-ইন' জানাচ্ছে, ফাঁস হওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের ইপিএফও লিকের তথ্য এতে আছে। সেই ২০১৮ সালের সাইবার হামলা নিয়ে ইপিএফও এবং সিসিএস একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে। তবে সার্ট-ইনের তদন্তে জানা গিয়েছে, হামলা ইপিএফও-র ওপরেই হয়েছিল। 4/5 উল্লেখ্য, বিগত দিনে ভারতের ওপর ক্রমেই বেড়েছে সাইবার হামলার ঘটনা। আইসিএমআর, তাজ হোটেল, এইমস, বিএসএনএল-এর মতো সংস্থার সার্ভারে সাইবার অপরাধীরা 'হামলা' চালিয়েছে বিগত দিনে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে অন্য দেশের সরকারের মদতপুষ্ট সাইবার হামলার ঘটনা ২৭৮ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। 5/5 এদিকে তাইওয়ানের সাইবার অপরাধ গবেষক আজাকা সেকাইয়ের মতে, ফাঁস হওয়া নথিগুলি চিনের আক্রমণাত্মক সাইবার কার্যক্রমের উপরেই আলোকপাত করেছে। আই-স্পুন নামক এক স্পাইওয়্যারের ব্যবহার করে এই সব তথ্য হাতানো হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।