গত মরশুমে লিভারপুলের কাছে প্রিমিয়র লিগের ট্রফি হারাতে হয়। তাই এই মরশুমে নিজেদের হারানো জায়গা ফিরে পেতে মরিয়া ছিল পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তবে শুরুটা একবারেই ভালভাবে হয়নি সিটিজেনদের।
1/7 মরশুমের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমার্ধে ১-০ লিড নিলেও, দ্বিতীয়ার্ধে জেইমি ভার্ডির হ্যাটট্রিকে কার্যত উড়ে যায় সিটি। ম্যাচের প্রায় ৭২ শতাংশ সময়ে বল নিজেদের দখলে রেখেও মিডল্যান্ডস ক্লাবের প্রতিআক্রমন আর গতিতে পরাস্ত হয় সিটি।
4/7 তবে যে কোন ভাল দলেরই বৈশিষ্ট্য হল, এক জনের অনুপস্থিতিতে অন্যজন সেই অভাব বুঝতে না দেওয়া। কেডিবির অনুপস্থিতিতে শুধু সেই শূণ্যতা পূরণই নয়, গোলের বন্যা বইয়ে পরপর দুইবার প্রিমিয়র লিগ প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ হয়ে নিজের জাত চেনান ইলকাই গুনদোয়ান।
5/7 সবচেয়ে মজবুত প্রতিপক্ষ লিভারপুলকে তাঁদের নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে ৪-১ তে পর্যদুস্ত করে খেতাব জয়ের লক্ষ্যে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের ভুল ও গুনদোয়ানের জোড়া গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।
6/7 সাধারণত গুয়ার্দিওলার দল তাঁদের পাসিং ফুটবল ও আক্রমনাত্মক মনোভাবের জন্যই পরিচিত। তবে গতবারের ডিফেন্সের ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে বিশাল মূল্যে নেথেন এ্যাকে ও রুবেন ডিয়াসকে নেয় সিটি। ডিয়াসের আগমনে খেলার আর ভাগ্য দুটোই বদলে যায় সিটির। একসময় দলে ব্রাত্য জন স্টোনসকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় গোলের সামনে পাঁচিল তুলে দেয় এই জুটি। বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মতে ডিয়াসই এই মরশুমের সেরা সাইনিংয়ের পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ও।
7/7 গেমউফইক ৩৫-এ চেলসির বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতলে বা ইউনাইটেড ভিলার বিরুদ্ধে হারলেও প্রিমিয়র লিগ খেতাব নিশ্চত হয়ে যেত সিটির। তবে দুইক্ষেত্রে ফলাফল প্রথমার্ধে ফলাফল সিটির পক্ষে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ছবি বদলে যায়। সিটি এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হারে এবং ইউনাইটেড পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ জিতে যায়। তবে অপেক্ষা ছিল মাত্র ৪৮ ঘন্টার। লেস্টার সিটির বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে সিটির আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তম লিগ খেতাব জয় সুনিশ্চিত করে ইউনাইটেড।