Taj Mahal Controversy: বেশ কয়েকটি কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন তাজমহলকে তেজো মহালয়া নামক একটি হিন্দু মন্দির বলে দাবি করে। সম্প্রতি এলাহাবাদ হাই কোর্টে এই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এই দাবির নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে? এই দাবির কি আদৌ কোনও ভিত্তি রয়েছে?
1/6২০১৫ সালে একদল আইনজীবী মোট সাতটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন আগ্রা দায়রা জজ আদালতে। সবকটি পিটিশনে দাবি কার হয়েছিল যে তাজমহলে যাতে হিন্দুদের গিয়ে পূজা-পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, মুঘল জমানার এই বিশ্ববিখ্যাত সৌধ আদতে ‘তেজো মহালায়া’ নামক শিব মন্দির ছিল। সেই শুরু হয় এই বিতর্কের। (PTI)
2/6মামলাকারী আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিটি উক্ত কক্ষগুলি পরীক্ষা করবে এবং সেখানে হিন্দু মূর্তি বা ধর্মগ্রন্থের সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রমাণ আছে কি না তা খুঁজবে। (PTI)
3/6শ্রী অগ্রেশ্বর মহাদেব নাগনাথেশ্বর বিরাজমানের (ভগবান শিব) হয়ে এই মামলা করেছিলেন তাঁর ‘বন্ধু’ শংকর জৈন। শংকরের দাবি, অন্তত ১০৯টি প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এবং ঐতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে যে এতে কোনও সন্দেহই নেই যে মামলায় উল্লেখিত স্থাপত্যটি একটি হিন্দু মন্দির। (PTI)
4/6ভারতের শিব মন্দির গুলোর স্থাপত্যশৈল এবং বৈশিষ্টের সঙ্গে তাজমহলর তুলনা করে মিল খুঁজে পান মামলাকারী শংকর জৈন। যদিও আদালতে মামলাকারীর যুক্তি খাটেনি। আবেদনটি মানা হয়নি, এবং এখনও আগ্রার নিম্ন আদালতে এই মামলা বিচারাধীন। (PTI)
5/6তবে আগ্রার আদালতে সেই আবেদন বিফলে গেলেও প্রায় একই ধরনের আবেদন গত সপ্তাহে দায়ের হয়েছে এলাহাবাজ হাই কোর্টে। অযোধ্যা জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া ইনচার্জ ডঃ রজনীশ সিং আবেদন দায়ের করে দাবি তোলেন, তাজমহলের ভিতর ২০টি ঘর খোলার জন্য যাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। (PTI)
6/6বিজেপি নেতা রজনীশ সিং দাবি করেন, ‘তাজমহল নিয়ে পুরনো বিতর্ক রয়েছে। তাজমহলের প্রায় ২০টি কক্ষ তালাবদ্ধ এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ধারণা করা হয়, এসব ঘরে হিন্দু দেবতা ও ধর্ম সম্পর্কিত মূর্তি রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছি যাতে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে এই কক্ষগুলি খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কক্ষগুলি খোলা হলে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্ক থেমে যাবে আর তা করতে তো কোনও ক্ষতি নেই।’ (PTI)