1/5 দেশে হু হু করে পতন হচ্ছে মানুষের ঘরে থাকা সঞ্চয়ের অঙ্কে। গত কয়েক দশকের তুলনায় তা বেশ কিছুটা কমতিতে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা। এই ইস্যুতে বহু অনেকেই কেন্দ্রের আর্থিক নীতি নিয়েও চর্চা করেছেন। এর মাঝে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক বলছে, আগের চেয়ে বর্তমানে মানুষ আর্থিক সম্পত্তি ঘরে কম রাখছে, কারণ তাঁরা তা দিয়ে ঋণ নিচ্ছেন, যাতে বাড়ি, গাড়ির মতো সম্পত্তি কিনতে পারেন। Pixabay)
2/5 কেন্দ্র তার বার্তায় স্পষ্ট করেছে যে, ঘরে থাকা সঞ্চয় কমিয়ে মানুষের বাড়ি, গাড়ি কেনার মতো বিষয়গুলি ‘কোনও কষ্টের চিহ্ন নয় এগুলি তাঁদের ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান, আয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের পরিচায়ক।’ উল্লেখ্য, ঘরোয়া সঞ্চয় নিয়ে সদ্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্টের পরিসংখ্যান নিয়েই শুরু হয়েছে তোলপাড়।
3/5 রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জিডিপিতে ঘরোয়া সঞ্চয় পড়ে গিয়েছে ৫.১ শতাংশ। এই নিরিখে ১৯৭৬-৭৭ সালের পর এইটিই সর্বনিম্ন অঙ্ক। এর আগে, ২০২১-২২ সালে এই ঘরোয়া সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ৭.২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই দুটি দিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একটি প্রশ্ন হল, কোভিড ১৯ এর মহামারীর প্রকোপে আর্থিক কষ্ট থেকে কি গৃহস্থগুলি কি উঠে আসতে পারেনি? এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি কি প্রভাব ফেলছে গৃহস্থগুলিতে?
4/5 তবে এই ধরনের সমালোচনা মানতে নারাজ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক তার রিপোর্টে বলছে, ধীরে ধীরে ক্রেতাদের পছন্দ বদলাচ্ছে। আর এই পছন্দের বদলের ট্রেন্ডই ঘরোয়া সঞ্চয় কমতির কারণ। কেন্দ্র তার বিবৃতিতে বলছে, ‘২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গৃহস্থের মোট আর্থিক সম্পদের স্টক দেশে ৩৭.৬ শতাংশ হয়েছে, যেখানে গৃহস্থের মোট আর্থিক দায়বদ্ধতার স্টক ৪২.৬ শতাংশ হয়েছে যে দুটির মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। ’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5 কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালের মে মাস থেকে ঋণের ক্ষেত্রে পাকাপোক্ত বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ‘সম্পদ বন্ধক দিয়ে গাড়ি বাড়ি কিনছে মানুষ’। গাড়ির ঋণ গত ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ধাপে ধাপে শতাংশের বিচারে বেড়েছে।