1/10অতিরিক্ত মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সময়ের অভাব নিয়ম মেনে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারেন না অনেকেই। উদ্যোগ নিয়েও থেমে যান অনেকে। তাঁদের জন্য অব্যর্থ দাওয়াই হতে পারে রাম কাপুর, লিজেল ডিসুজাদের এই সিক্রেট ওয়েট লস জার্নি।
2/10গোলুমোলু রাম কাপুর ২০১৯ সালে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন নতুন অবতারে সামনে এসে। ব্যাপক হাতে ওজন ঝরিয়ে ছিলেন ‘বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়’ খ্যাত তারকা। কিন্তু কীভাবে জানেন? সেই রহস্য হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেতা।
3/10ফ্যাট থেকে ফ্যাব হতে ঠিক কী করেছিলেন রাম? অভিনেতার ওজন ঝরানোর যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না। তাঁর কথায়, ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টা ওয়েট লিফটিং করতেন তিনি। অন্যদিকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতেন। কিন্তু শুধু কসরত করে কী কমেছে রামের ওজন?
4/10সবচেয়ে জরুরি ছিল খাওয়াদাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ। জানেন একটানা ১৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকতেন রাম কাপুর! চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ৮ ঘন্টা খাওয়াদাওয়া করতেন তিনি, বাকি সময়টা উপোস। হ্যাঁ, ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ (intermittent fasting) এর মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।
5/10দুগ্ধজাত খাবার, তেল, কার্বোহাইড্রেড আর মিষ্টি খাওয়া এক্কেবারে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কথায় আছে না ‘কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না’, এটা পুরোপুরি সত্যি তাঁর প্রমাণ রাম কাপুর।
6/10মাস কয়েক আগেই কোরিওগ্রাফার -পরিচালক রেমো ডিসুজার স্ত্রী লিজেলের (Lizelle Remo D’Souza) বডি ট্রান্সফরমেশন তাক লাগিয়ে দিয়েছে সক্কলকে। রেমোর কথায়, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাঁর স্ত্রী।
7/10রেমো ঘরনি এক ধাক্কায় ৪০ (চল্লিশ) কিলো ওজন ঝরিয়েছেন। ১০৫ কিলো ওজন ছিল লিজেলের, ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং' করে নিজের ওজন ৬৫-তে নামিয়ে আনেন তিনি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৫ ঘন্টা কিছু খাবার খেতেন না লিজেল। পরে আরও এক ঘন্টা সময় বাড়িয়ে দেন তিনি।
8/10ওজন কমাতে কিটো ডায়েটও ফলো করেছেন লিজেল। একটা সময় তো দিনে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতেন তিনি। বাইরের কোনও খাবার খেতেন না, শুধু বাড়ির খাবার দিয়ে চলত উদরপূর্তি। তবে এই গোটা প্রক্রিয়া চিকিত্সকের পরামর্শ মতোই ফলো করেছেন লিজেল।
9/10ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হচ্ছে দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকার ডায়েট। নারী ও পুরুষভেদে এই না খেয়ে থাকার সময়সূচি আলাদা। আপনি যতক্ষণ জেগে আছেন, তার মধ্যে লম্বা একটা সময় না খেয়ে থাকতে হবে, এটা এই ডায়েটের নিয়ম। ১০ ঘণ্টা থেকে আরম্ভ করে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা যায়। অনেকে আবার এই না খেয়ে থাকার সময়টায় জলস্পর্শও করেন না, তাকে বলে ড্রাই ফাস্টিং। যদিও এই ধরণের ডায়েট ফলো করবার আগে চিকিত্সকদের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি।
10/10ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেই ওজন কমিয়েছেন কমেডিয়ান ভারতী সিংও। তবে রেমো বা লিজেলের মতো জিমে সময় কাটাননি ভারতী।