House Rent Allowance: কলকাতা হাইকোর্ট চাপ বাড়তেই মাথা নোয়াল রাজ্য সরকার। দু'সপ্তাহের মধ্যে এই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বা HRA মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
1/5 আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে চাপে পড়ার পরই টনক নড়ল রাজ্য সরকারের। হাইকোর্টে হাজির হয়ে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি জানিয়ে দিলেন, দু'সপ্তাহের মধ্যে সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের বকেয়া ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বা HRA মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর না করার যাবতীয় দায় জেলা স্কুল পরিদর্শকদের ঘাড়ে ঠেলে দেন স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 কোন প্রেক্ষিতে সেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল? ২০২১ সালে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে ২০১৯ সালের রোপা রুল মেনে শিক্ষকদের ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বা HRA প্রদান নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর, সেই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে না। কোনও শিক্ষক অথবা শিক্ষিকার স্বামী ব স্ত্রী যদি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত থাকেন এবং এইচআরএ বাবদ ১২,০০০ টাকার বেশি পান, তাহলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে প্রাপ্য এইচআরএ দিতে রাজ্য সরকারকে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
3/5 যদিও রাজ্য সরকার সেই রায় মেনে পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন এক শিক্ষিকা। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন-সহ একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সেই মামলায় শুক্রবার আদালতে হাজির দিয়ে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব দাবি করেন, দু'সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। যিনি মামলা করেছেন, তাঁর বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন স্কুলশিক্ষা সচিব। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 সেইসঙ্গে স্কুলশিক্ষা সচিব দাবি করেন, জেলার স্কুলশিক্ষা পরিদর্শকের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি। তাই ২০২১ সালে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই মেনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এইচআরএ প্রদান করা যায়নি বলে দাবি করেন রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5 উল্লেখ্য, যে বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে মূল মামলা দায়ের হয়েছিল, তা ২০১৯ সালের রোপার আগেই জারি করা হয়েছিল। সরকারি এবং সরকার-পোষিত স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের স্বামী বা স্ত্রী যদি কোনও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন এবং এইচআরএ বাবদ ১২,০০০ টাকা বা তার বেশি পেলে শিক্ষক ও শিক্ষিকরা কোনও এইচআরএ পাবেন না। এইচআরএ বাবদ সর্বোচ্চ ১২,০০০ টাকা পেতে পারেন তাঁরা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)