প্রভিডেন্ট ফান্ডে আওতায় বর্ধিত পেনশন পেতে পশ্চিমবঙ্গে আবেদন জানিয়েছেন ৩৬ হাজার ৭০০ জন। তবে দফতরে কর্মীদের ঘাটতির জেরে সেই সব আবেদন সময় মতো খতিয়ে দেখা যাচ্ছে না। এই আবহে শ্লথ গতিতে কাজ এগোচ্ছে।
1/5 গত ৩০ জুন পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডে আওতায় বর্ধিত পেনশন পেতে আবেদন জানানো গিয়েছিল। সেদিন পর্যন্ত, পশ্চিমবঙ্গের ৩৬ হাজার ৭০০ জন বর্ধিত পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপর পার হয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। তবে সেই সব আবেদন খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তপক্ষের।
2/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশি পেনশন পেতে রাজ্যের ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদনের মধ্যে মাত্র ৮৩০০টি খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মঞ্জুর করা হয়েছে ১৭০০ জনের আবেদন। পিএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে ২০২৪ সাল গড়িয়ে যেতে পারে।
3/5 রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পিএফ অফিসের কাজ হচ্ছে মাত্র ৪০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে। এই আবহে কাজের গতি শ্লথ হওয়াই স্বাভাবিক। আবার এরক সঙ্গে যোগ হয়েছে পুরনো আমলের ডিজিটাল ব্যবস্থা। যার জেরে আবেদন খতিয়ে দেখার কাজ আরও ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এদিকে আবেদনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ সেল গঠন হয়েছিল। তবে তাতেও বাড়ছে না কাজের গতি।
4/5 এদিকে পিএফ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, যে ১৭০০ জনের বেশি পেনশন মঞ্জুর করা হয়েছে, তা পেতে নাকি সেই আবেদনকারীদের ৯৭ কোটি টাকা দিতে হবে। পিএফ কর্তৃপক্ষের এই দাবিকে বেড়েছে বিভ্রান্তি। এদিকে বর্ধিত পেনশন পেতে কত টাকা জমা দিতে হবে, তা জানিয়ে এই ১৭০০ জনকে একে একে চিঠি পাঠাচ্ছে পিএফ কর্তৃপক্ষ।
5/5 ২০১৪ সালের সংশোধিত ইপিএসে পিএফের পেনশন পাওয়ার যোগ্য বেতনের ঊর্ধ্বসীমা আগের থেকে বাড়ানো হয়েছিল। আগে তা মাসে ৬৫০০ টাকা ছিল। তা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, যদি পিএফের কোনও সদস্য ১৫ হাজারের উপরে থাকা বেতনের অংশেও পেনশন পেতে চান, তা হলে তাঁদের নিয়োগকর্তার সঙ্গে যৌথ ভাবে মূল বেতনের উপর ৮.৩৩% দিতে হবে ইপিএসে।