আয়কর বিভাগ বলছে, নিষ্ক্রিয় প্যানকার্ড মানে তা কার্যকর নয়, এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে কী কী করণীয় জেনে নিন আয়কর রিটার্ন ফাইল করার তারিখের আগেই।
1/5 প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার শেষ তারিখ ৩০ জুন ছিল। এরপর আর ডেডলাইন বাড়াতে চায়নি আয়কর বিভাগ। এদিকে, ডেডলাইন শেষ হওয়ার পর বহু প্রবাসী ভারতীয়(নন রেসিডেনশিয়াল ইন্ডিয়ানস) দাবি করছেন তাঁদের প্যান কার্ড কার্যকরী হচ্ছে না। ঘটনা ঘিরে তাঁরা উদ্বেগে। এই পরিস্থিতিতে কী কী করণীয়, তার তথ্য দিল ভারতের আয়কর বিভাগ। আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ও বিভিন্ন আর্থিক কর্মাকণ্ডে প্যানকার্ড নিষ্ক্রিয় হলে সেই প্রবাসী ভারতীয় কী করবেন, তা জেনে নেওয়া যাক।
2/5 আয়কর বিভাগের অনুরোধ প্রবাসী ভারতীয়দের(এনআরআই) প্রতি, যাঁদের প্যানকার্ড নিষ্ক্রিয়, তাঁরা যেন তাঁদের সম্পর্কিত ‘জুরিসডিকশনাল অ্যাসেসিং অফিসার’দের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের স্থানগত নিবাস সম্পর্কে জানান। অর্থাৎ সেই প্রবাসী ভারতীয় কোথায় থাকেন, তাঁর ‘রেসিডেন্সিয়াল স্টেটাস’ জানাতে হবে 'জুরিসডিকশনাল অ্যাসেসিং অফিসার’কে। সঙ্গে তাঁর দাবির সপক্ষে যোগ্য প্রামাণ্য নথি পেশ করতে হবে। যাতে তা তাঁর প্যানকার্ডের তথ্যে নথিভুক্ত হয়ে যায়। ফলে প্যান কার্ডের ডেটাবেস হবে আপডেটেড। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
3/5 এছাড়াও বলা হচ্ছে, যে প্রবাসী ভারতীয়রা গত ৩ বছরে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন ফাইল করেছেন, তাঁদের ‘রেসিডেন্সিয়াল স্টেটাস’ বা ‘বসবাসের নিরিখে অবস্থান’ সম্পর্কে তথ্য আয়কর বিভাগ আলাদা করে নির্দিষ্ট করেছে। এটা ছাড়াও যাঁরা নিজেদের জুরিসডিকশনাল অ্যাসেসিং অফিসার’কে 'রেসিডেন্শিয়াল স্টেটাস' সম্পর্কে জানিয়েছেন, তাঁদেরও এই তথ্য আয়কর বিভাগ ‘ম্যাপ' করে রেখেছে। (Mint)
4/5 আয়কর বিভাগ বলছে, নিষ্ক্রিয় প্যানকার্ড মানে তা অকার্যকর, এমনটা নয়। তবে আয়কর বিভাগ এও জানাচ্ছে যে, ওসিআই বা বিদেশী নাগরিক, যাঁরা সম্ভবত তাঁদের ‘রেসিডেনশিয়াল স্টেটাস’ এর আওতায় প্যানের আবেদন করেননি, বা কোনও ভুল থাকলে শোধরাননি, বা জুরিসডিকশনাল অ্যাসেসিং অফিসারের কাছে আপডেট করেননি নিজেদের রেসিডেনশিয়াল স্টেটাস, কিম্বা গত ৩ বছরে আয়কর রিটার্ন ফাইল করেননি তাঁদের প্যান নিষ্ক্রিয় থাকবে।
5/5 উল্লেখ্য, নন রেসিডেনশিয়াল ইন্ডিয়ান্স বা প্রবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়না আধার নম্বরের। ফলে প্যান কার্ডের তথ্য তাঁদের কাছে বড় ভরসার জায়গা। আয়কর বিভাগ বলছে, প্যান নিষ্ক্রিয় থাকলে রিফান্ড প্রাপ্তির প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। রিফান্ডের নিরিখে সুদও প্রাপ্তি হবে না। সেকশন ২০৬ এএর আওতায় টিডিএসের প্রয়োজন পড়বে। ২০৬সিসির আওতায় টিসিএস প্রাসঙ্গিক হবে।