টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের বিরুদ্ধে শ'য়ে শ'য়ে কর্মীর বেতন আটকে রাখা এবং হাজার হাজার কর্মীকে জোর করে বদলি করার অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি। সেই টিসিএস ইউরোপে সবচেয়ে বেশি কর্মীকে নিয়োগ করা সংস্থা হয়ে উঠেছে। ইউরোপের ১২টি দেশে সবচেয়ে বেশি চাকরি দেওয়ার নজির গড়েছে টিসিএস।
1/5 রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি চাকরি দেওয়া আইটি সংস্থা হয়েছে টিসিএস। এই নিয়ে লাগাতার ১২তম বার এই নজির গড়েছে ভারতীয় সংস্থাটি। ইউরোপের ১২টি দেশ - বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড, হাঙ্গারি, ইতালি, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফ্রান্স এবং স্পেনে সবচেয়ে বেশি চাকরি দিয়েছে টিসিএস।
2/5 বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের রিপোর্ট অুযায়ী, ইউরোপে গতবছর ১০০০ জনেরও বেশি অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ করেছে টিসিএস। টিসিএস-এ ১৪২ দেশের নাগরিকরা চাকরি করেন। সংস্থার স্থানীয় নিয়োগের ৩২ শতাংশই মহিলা। বর্তমানে ইউরোপে টিসিএস-এর ১৭ হাজারেরও বেশি কর্মী আছে। এর মধ্যে ৫ হাজার কর্মী ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে।
3/5 এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, টিসিএস দেড় লাখ কর্মীকে জেনএআই-তে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সংস্থার ২৫ হাজার কর্মী অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের জেন এআই সার্ভিসে কাজ করার জন্য সার্টিফিকেট পেয়েছে। এদিকে সংস্থা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আপস্কিলিং অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ২ কোটি মানুষকে প্রশিক্ষ দেবে টিসিএস।
4/5 এদিকে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের বিরুদ্ধে শ'য়ে শ'য়ে কর্মীর বেতন আটকে রাখা এবং হাজার হাজার কর্মীকে জোর করে বদলি করার অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি। এই আবহে মহারাষ্ট্র সরকারের শ্রম দফতর নোটিশ পাঠায় টিসিএস-কে। গতকাল, ১৮ জানুয়ারি এই নিয়ে সংস্থার কর্তাদের বৈঠকে বসার কথা ছিল সরকারের সঙ্গে।
5/5 আইটি কর্মচারীদের ইউনিয়ন ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেটের অভিযোগ ছিল, 'যথেষ্ঠ সময় না দিয়ে' সংস্থার প্রায় ২০০০ কর্মীকে বদলির নোটিশ ধরিয়েছিল টিসিএস। এদিকে বদলির নির্দেশ অনুযায়ী নতুন অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট না করতে পারায় প্রায় ৯০০ কর্মীর বেতন আটকে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে টিসিএস-এর বিরুদ্ধে।