বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Justin Trudeau: বিমান বিভ্রাটের জেরে মঙ্গলেও দিল্লিতে আটকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী, হোটেলে বসে কী করছেন তিনি?
Justin Trudeau: বিমান বিভ্রাটের জেরে মঙ্গলেও দিল্লিতে আটকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী, হোটেলে বসে কী করছেন তিনি? Updated: 12 Sep 2023, 09:40 AM IST Abhijit Chowdhury দু'দিনের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে ফেরার সময় ঘটে বিপত্তি। তাঁর এয়ারবাস বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। যার জেরে গতকাল আর নিজের দেশে ফিরে যাওয়া হয়নি। এই আবহে মঙ্গলবার সকালেও দিল্লিতেই বসে আছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। একা একা দিল্লিতে কী করছেন তিনি? 1/6 বিমানে গোলযোগের কারণে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দিল্লি ছাড়তে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত মঙ্গলবার সকালেও বিমানের সমস্যা ঠিক হয়নি। যার জেরে এখনও দিল্লিতেই বসে থাকতে হচ্ছে ট্রুডোকে। এদিকে কানাডায় খলিস্তানি কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত ইস্যুতে 'ফাটা রেকর্ড' বাজিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে ট্রুডোর। এই আবহে কী করছেন তিনি? 2/6 জানা গিয়েছে, ভারত সরকার খুব একটা প্রসন্ন নয় জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি। 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা'র নামে যেভাবে খলিস্তানিদের কানাডা সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে, তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে দিল্লি। মনে করা হচ্ছে, ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থেই খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না জাস্টিন ট্রুডো সরকার। এমনকী দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরও কানাডার প্রধামন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল সেই আগের সুর। আর এরই মাঝে দিল্লিতেই আটকে ট্রুডো। 3/6 জানা গিয়েছে, আজকে দুপুরের আগে কোনও ভাবেই তাঁর বিমান ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। এদিকে ট্রুডোর সঙ্গে একই ঘরে আছেন তাঁর ছেলে জেভিয়ার। তাছাড়া সেই হোটেলের আরও ৩০টি ঘরে রয়েছেন ট্রুডোর কোর টিমের সদস্য এবং কানাডার সাংবাদিকরা। বিমানের সমস্যা মেটা পর্যন্ত হোটেলেই থাকতে চলেছেন ট্রুডো। বাইরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা তাঁর আপাতত নেই। 4/6 জানা গিয়েছে, আরও ৩৬ ঘণ্টা আগেই ভারত ত্যাগ করার কথা ছিল জাস্টিন ট্রুডোর। তবে দিল্লিতে হোটেল ললিতের ঘরে একা সময় কাটছে ট্রুডোর। এদিকে ভারত সরকার তাঁর প্রতি প্রসন্ন নয় বলেও জানা যাচ্ছে। এই আবহে সোমবার গোটা দিন সরকারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি ট্রুডোর সঙ্গে। এরই মধ্যে রবিবারই কানাডায় খালিস্তানের সমর্থনে গণভোট হয়। যা এই গোটা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এবং কানাডা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা মেনে নিতে পারছে না দিল্লি। 5/6 প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই কানাডায় ভারত বিরোধী শক্তি বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। খলিস্তানি আন্দোলনের নামে মন্দিরে মন্দিরে হামলা হয়েছে। এদিকে কানাডা সরকারকে এই নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থে এই নিয়ে নীরবতা পালন করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে দিল্লিতে জি২০ বৈঠকের পর মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই নিয়ে কথা শুনতে হয় তাঁকে। অবশ্য তিনি তাঁর সরকারের সেই পুরনো অবস্থানের কথাই জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। 6/6 এর আগে রবিবার খলিস্তানি ইস্যু নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে যাতে কানাডায় ভারতীয় দূতবাসের আধিকারিকদের উপর হামলা, প্রবাসী ভারতীয়দের হুমকি এবং মন্দিরের উপর হামলার মতো ঘটনায় ইতি টানা যায়, তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। যদিও মোদীর বার্তায় আখেরে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিশেষত খলিস্তানি ইস্যুতে ট্রুডো যা বলেছেন, তা নয়াদিল্লির কাছে একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। আর এরই মাঝে দিল্লিতেই আটকে ট্রুডো।