নতুন রূপে সেজে উঠছে কালীঘাট মন্দির। সংস্কারের দায়িত্বে রিলায়েন্স গ্রুপ। দেখে নিন কেমন রূপ হচ্ছে মন্দির ও সংলগ্ন জায়গার। তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক।
1/6 কালীঘাট মন্দির বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সরু গলির দুদিকে ডালার দোকান। ভক্তদের ভিড় বেশি হলে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এই কালীঘাটেই মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে দূর দূরান্ত থেকে, দেশ বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন। ছবিটি প্রতীকী।
2/6 একবার মায়ের দর্শন পেতে হাজার হাজার কিমি পাড়ি দিয়ে এই মন্দিরে আসেন ভক্তরা। তবে এবার সেই মন্দির ও সংলগ্ন এলাকার সংস্কারে রিলায়েন্স গ্রুপ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও এব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে খবর। (নক্ষত্র)
3/6 সূত্রের খবর, এই সংস্কার কাজ ইতিমধ্য়ে শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তবে কলকাতা পুরসভা, রাজ্যের পর্যটন দফতর এক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করছে। কারণ সবথেকে বড় কথা হল কালীঘাট মন্দিরের একটা প্রাচীন ঐতিহ্য আছে। আধুনিক করতে গিয়ে যাতে সেই ঐতিহ্যে চিড় না খায় সেটা সবার আগে দেখা হচ্ছে। (নক্ষত্র)
4/6 কালীঘাটের বাইরের দিকের অংশের সংস্কার করা ও স্কাইওয়াক তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কালীঘাট সংলগ্ন এলাকা বরাবরই ঘিঞ্জি। বহু পুরানো ছোট ছোট দোকান। একাধিক পুরানো বাড়িও রয়েছে। অন্যদিকে মন্দিরের রোজকার পুজো অর্চনায় বিঘ্ন না ঘটিয়ে সংস্কারের কাজ বজায় রাখা হচ্ছে। তবে বছর চারেক আগেও এই কাজে হাত দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু নানা কারণে তাতে গতি আসেনি। (নক্ষত্র)
5/6 এবার গর্ভগৃহ, নাটমন্দির, শবিমন্দির, মন্দিরের রান্নাঘর, মন্দিরের সামনে বিরাট দুয়ার সবগুলির সংস্কারে হাত দিয়েছে। একেবারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কেএমসি হেরিটেজ কমিটি থেকে যাবতীয় ছাড়পত্র নিয়েই এই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
6/6 কথিত আছে ১৯ শতকে সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার এই কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারে এগিয়ে এসেছিল। পরবর্তী সময়তেও প্রাচীন এই মন্দির ধাপে ধাপে সংস্কার করা হয়। কিন্তু তবুও কিছু সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। তবে এবার কালীঘাট মন্দিরেও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মতো স্কাইওয়াক তৈরির উদ্যোগ। অর্থাৎ স্কাইওয়াক দিয়েই আপনি কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে পারবেন। এতে ভক্তদের আরও সুবিধা হবে। ছবি: পিটিআই।