কর্মসূত্রে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের অনেকে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁরা। তবে সেই দিন হয়ত বেশি দূরে নেই, যখন কলকাতাও তথ্যপ্রযুক্তি হাব হয়ে উঠবে। এমনই সম্ভাবনা উঠে এল একটি ডাচ সংস্থার রিপোর্টে।
1/5 কলকাতায় কাজ নেই, কলকাতায় কাজ নেই- হামেশাই সেই অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরাও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানায়। তবে সেই ছবিটা পালটাতে চলেছে বলে নেদারল্যান্ডসের একটি সংস্থার সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। ওই ডাচ সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি হাব হয়ে উঠতে পারে কলকাতা। বিশ্বের সেরকম সম্ভাব্য ২৪টি তথ্যপ্রযুক্তি হাবের তালিকায় আছে মহানগরী। (ছবিটি প্রতীকী, ফেসবুক Biswa Bangla Gate ও dwpinterics)
2/5 নেদারল্যান্ডসের সমীক্ষা ও ব্যবসায়িক উপদেষ্টা সংস্থা বিসিআই গ্লোবালের তরফে সেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' চললেও এখনও একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যে অফিসে গিয়ে কাজের জন্য জায়গা খুঁজছে। বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নিজেদের অফিস খুলতে চাইছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এক্স @CBRE_India)
3/5 তবে সবসময় যে জনপ্রিয় বা চিরাচরিত জায়গাগুলির (বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের মতো তথ্যপ্রযুক্তি হাব) প্রতি ঝুঁকবে ওই সংস্থাগুলি, সেরকম কোনও বিষয় নেই। যে জায়গাগুলি এখনও সেরকম জনপ্রিয়তা পায়নি, কিন্তু সেই জায়গাগুলির মধ্যে ‘হাব’ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে, সেগুলি নিয়েও অনেকে বিবেচনা করে থাকেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এক্স @CBRE_India)
4/5 নেদারল্যান্ডসের ওই সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, যখন কোনও কোম্পানি বিদেশের বাজারে নতুন কোনও জায়গায় অফিস খুলতে চাইবে, তখন চিরাচরিত শহরের পরিবর্তে নতুন কোনও জায়গা বেছে নেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে, তাহলে সেই তালিকায় কোন কোন শহর থাকবে, তা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। আর তাতে বিশ্বের ২৪টি জায়গার মধ্যে আছে কলকাতা। তাছাড়া ভারত থেকে সেই তালিকায় আছে ত্রিবান্দ্রম। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
5/5 ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কলকাতায় প্রচুর প্রশিক্ষিত কর্মী আছেন। তাঁরা ইংরেজিতেও সাবলীল। এমনিতে ভারতের একাধিক শহরের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসার প্রবণতা কিছু কম। তবে সেই ধারাটা এখন পালটাচ্ছে। ২০২২ সালে 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস'-র তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যে একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি কলকাতায় আসতে শুরু করেছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে সমীর জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)