কলকাতায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে বিগত বাম জমানাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অভিযোগ, বামেদের জন্যেই আজকে কলকাতার এই হাল। কলেজ স্ট্রিটের বর্ণপরিচয় এর অন্যতম উদাহরণ বলে দাবি করেন মেয়র।
1/5 মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তিলোত্তমায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১১০০। শুক্রবার বাংলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেল এক রিপোর্টে। এর মধ্যে দু'জন রোগী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন সেই দু'জনই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঘাজতিন এলাকার বাসিন্দা, অপরজন ছিলেন সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ জন। সেই সংখ্যাটাই গতকাল বেড়ে হয় ৩৮০২। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ১১০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন শহরে।
2/5 কলকাতায় ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে আগের বাম সরকারকে তোপ দাগেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'আগের সরকারের পাপের ফল ভুগছে কলকাতা। বর্ণপরিচয় মার্কেট একটা উদাহরণ, আরও আছে। তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে গিয়েছিল পুরসভাকে।'
3/5 এদিকে ফিরহাদের বক্তব্যের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, 'গত ১০ বছর ধরে দায়িত্বে আছে তৃণমূল। অপদার্থরা দায়িত্বে আছেন। পদত্যাগ করুন।' বিকাশরঞ্জনের কথায়, 'আমরা যখন কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে ছিলাম, তখনও ডেঙ্গি সামলেছি। আমাদের আগে তো সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র ছিলেন। তৃণমূল দাবি করে, তিনি দারুণ কাজ করেছিলেন। আমরা এসে তো বলিনি যে সুব্রতবাবু কাজ করেননি। তাহলে আমাদের সময় যখন ডেঙ্গি সামলাতে হচ্ছিল, তখন তো আমরাও আক্রমণ শানাতে পারতাম।'
4/5 এদিকে কলকাতার দুই রোগী ছাড়াও গতকাল ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজনের। তার মধ্যে দু'জন ঘাটালের বাসিন্দা এবং বাকি দু'জন খড়গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এবছরে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এদিকে শুক্রবার একই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই আরও আতঙ্ক বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে।
5/5 ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জেরে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সন্ধেতেও খোলা থাকবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোর। তবে সেটা শুধুমাত্র মঙ্গলবার আর শুক্রবার। সপ্তাহের বাকি ৪ কর্মদিবসে আগের মতোই সকালে খোলা থাকবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।