বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > MEA on Katchatheevu Island Row: কচ্ছতিভু নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক জারি, প্রশ্ন উঠতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলল...
MEA on Katchatheevu Island Row: কচ্ছতিভু নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক জারি, প্রশ্ন উঠতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলল... Updated: 05 Apr 2024, 07:13 AM IST Abhijit Chowdhury বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তামিলনাড়ুতে এই নিয়ে ডিএমকে-কংগ্রেসের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। এই বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে এই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়েছিল সম্প্রতি। 1/8 বৃহস্পতিবার কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে চলতে থাকা রাজনৈতিক চাপানউতোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে তিনি বিরত থাকলেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, সম্প্রতি কচ্ছতিভু নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজেই মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন। এই নিয়ে যা স্পষ্ট করার, তিনি করে দিয়েছেন। (প্রতীকী ছবি) 2/8 এর আগে বিজেপির সদর দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৪ সালে এই দ্বীপটি একটি চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কাকে দিয়েছিল দিয়েছিলেন। পরে বহুবার সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল। তিনি নিজে অন্তত একুশ বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন। চুক্তির বিষয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধিকে আগাম অবহিত করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক স্বার্ছে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। এই আবহে বর্তমান ডিএমকে সরকারকে এর দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন জয়শঙ্কর। (প্রতীকী ছবি) 3/8 প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার হাতে ১৬৩ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল তৎকালীন ভারত সরকার। এই আবহে বেশ কয়েক মাস আগে সংসদে কংগ্রেসকে তোপ দাগতে কচ্ছতিভু দ্বীপের ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের মুখে আবারও সেই দ্বীপের উল্লেখ করে দ্রাবিড় রাজনীতিতে ঝড় তুলতে চাইছে পদ্ম শিবির। 4/8 ভারতের রামেশ্বরম এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে কচ্ছতিভু দ্বীপ অবস্থিত। যে দ্বীপ ব্যবহার করতেন ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীরা। কিন্তু ১৯৭৪ সালে 'ইন্দো-শ্রীলঙ্কান সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে ১৬৩ একরের সেই দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দেয় ভারত। এই দ্বীপ নিয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে টানাপোড়েন ছিল দীর্ঘদিনের। এর জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ছিল। এই আবহে সেজন্য বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে শ্রীলঙ্কার হাতে কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দেওয়া হয়েছিল। (প্রতীকী ছবি) 5/8 তবে ভারত সরকারের সেই সিদ্ধান্তের ফলে তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। আগে এই দ্বীপের আশেপাশের জল থেকে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করতেন কয়েক হাজার মৎস্যজীবী। তবে দ্বীপ হস্তান্তরের পরে সেই দ্বীপের ধারেকাছেও ভারতীয়দের ঘেঁষতে দেয় না শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। এমনিতেও বহু ক্ষেত্রেই শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করার অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে লঙ্কার নৌসেনা। (প্রতীকী ছবি) 6/8 রামেশ্বরম, পুদুকোট্টাই এবং নগপত্তিনমের মতো এলাকার মৎস্যজীবীরা কচ্ছতিভু দ্বীপে শ্রীলঙ্কার 'দাদাগিরি' নিয়ে তিতি বিরক্ত। এদিকে তামিলনাড়ু সরকারও এই দ্বীপের জন্য বারবার সরব হয়েছে। শ্রীলঙ্কার থেকে কচ্ছতিভু দ্বীপ ফেরানোর জন্য একাধিকবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন তামিলনাড়ুর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও। আর স্ট্যালিনেরই জোটসঙ্গী কংগ্রেসের ঘাড়ে কচ্ছতিভু দ্বীপ হস্তান্তরের দায় চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। (প্রতীকী ছবি) 7/8 সরকারি নথি থেকে জানা গিয়েছে, আরটিআইয়ের জবাব অনুযায়ী, স্বাধীনতা লাভের পরই কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন সিলন বায়ুসেনা মহড়া চালিয়েছিল কচ্ছতিভু দ্বীপে। ১৯৬১ সালের ১০ মে কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি তুচ্ছ বলে অভিহিত করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তিনি বলেছিলেন, 'এই ছোট্ট দ্বীপের ক্ষেত্রে কোনওরকম গুরুত্ব দেখতে পাচ্ছি না আমি। সেই দ্বীপের নিয়ে ভারতের দাবি তুলে নিতে কোনও আপত্তি থাকবে না আমার।' (প্রতীকী ছবি) 8/8 এদিকে ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এসম সি সেতালভাদ জানিয়েছিলেন যে কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি নিয়ে দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতা না থাকলেও ওই দ্বীপের উপর ভারতের বেশি অধিকার আছে। ভারতের হাতেই কচ্ছতিভু দ্বীপ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্মসচিব কে কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা যে দাবি করছে, সেটার মজবুত ভিত্তি আছে। কিন্তু সেটার মানে এই নয় যে ভারতের কোনও দাবি নেই। (প্রতীকী ছবি)