বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > মোদী ২.০ : ফিকে অর্থনীতি-৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, প্রথম বছরের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
মোদী ২.০ : ফিকে অর্থনীতি-৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, প্রথম বছরের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত Updated: 30 May 2020, 12:29 PM IST Ayan Das দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বছরটা কার্যত বিজেপির দীর্ঘকালীন নীতি রূপায়ণের বছর। অত্যন্ত তেমনই মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একদিকে যেমন তিন তালাক বিরোধী আইন বলবৎ হয়েছে, তেমনই সংবিধানের ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দলের লাইন মেনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও কার্যকরী হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক কার্যকলাপ। একনজরে দেখে নিন মোদী ২.০-এর প্রথম বছরের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত - 1/11 দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বছরটা কার্যত বিজেপির দীর্ঘকালীন নীতি রূপায়ণের বছর। 2/11 দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পরই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ করে বিজেপি সরকার। পরে তা আইনে পরিণত হয়। সেই আইনের আওতায় তাৎক্ষণিক তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। 3/11 গত বছর ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। পাশাপাশি, পূর্বতন রাজ্যকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয় - জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। 4/11 উত্তর-পূর্ব ভারতে তুুমুল বিক্ষোভ-হিংসা সত্ত্বেও ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী আনে মোদী সরকার। তা অনায়াসে সংসদের দুই কক্ষে পাশ করিয়ে আইনেও পরিণত করা হয়। তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল। 5/11 এটায় অবশ্য সরাসরি বিজেপি সরকারের যোগ নেই। তবে এটা বিজেপি সরকারের কাছে বড়সড় রাজনৈতিক জয়। ঐতিহাসিক রায়ে অযোধ্য়ার বিতর্কিত জমি রামলাল্লার বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের পর রাম মন্দিরের তৈরির রাস্তা পরিষ্কার হয়। 6/11 রাজনৈতিক মানচিত্রে অবশ্য গত বছর খুব একটা সুখকর হয়নি মোদীর। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও কুর্সির টানাটানিতে ভেঙে যায় সেই জোট। পরে এনসিপির একটি অংশের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়লেও সেই তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বরং চূড়ান্ত নাটকের পর কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ে শিবসেনা। 7/11 হরিয়ানায় ধাক্কা খেলেও দুষ্মন্ত চৌতালার সমর্থনে সেখানে সরকার গড়ে বিজেপি। কিন্তু বিজেপিকে সবথেকে ধাক্কা খেতে হয় দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডে। অলআউট ঝাঁপানো সত্ত্বেও দিল্লিতে আপ ঝড়ে সাফ হয়ে যায় বিজেপি। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারায় গেরুয়া শিবির। 8/11 হরিয়ানায় ধাক্কা খেলেও দুষ্মন্ত চৌতালার সমর্থনে সেখানে সরকার গড়ে বিজেপি। কিন্তু বিজেপিকে সবথেকে ধাক্কা খেতে হয় দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডে। অলআউট ঝাঁপানো সত্ত্বেও দিল্লিতে আপ ঝড়ে সাফ হয়ে যায় বিজেপি। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারায় গেরুয়া শিবির। 9/11 ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য গত বছর সেপ্টেম্বরে কর্পোরেট ট্যাক্স মকুব করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরে ১০০ লাখ কোটি টাকার পরিকাঠামো পরিকল্পনার উন্মোচন করা হয়। তাতেও অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং ক্রমশ মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে অর্থনীতির আকাশ। 10/11 এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে কাধিক গতিবিধি শিথিল হলেও এখনও লকডাউন চলছে। কেন্দ্রের দাবি, লকডাউনের জেরেই দেশে করোনার সংক্রমণের হার কমেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে লকডাউনে। সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুতেও মুখ সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। 11/11 করোনার জেরে সারা বিশ্বে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউনে দেশে বেড়েছে বেকারত্বের হার। কমেছে চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) একাধিক ঘোষণা-সহ ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।