রাজস্থানের ভরতপুরে একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে বড় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সম্প্রতি সেখানে বলেন, যদি সেই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করে তাহলে তেলের দাম কমানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
1/5 আগামী ২৫ নভেম্বর রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যদি বিজেপি যেতে তাহলে সেই রাজ্যের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী অভিযোগ করেন, পড়শি উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং হরিয়ানার থেকে রাজস্থানে ১২ টাকা বেশি দরে বিকোচ্ছে জ্বালানি তেল।
2/5 নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আম জনতার পকেট কেটে এই সরকার কংগ্রেস নেতাদের পকটে ভরছে। আমরা এই রাজ্যে সরকার গঠন করলে জ্বালানি তেলের দাম পর্যালোচনা করব। এরপর জনস্বার্থে আমরা তেলের দাম কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।' এরই সঙ্গে তিনি পড়শি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তেলের দামের উদাহরণও তুলে ধরেন নির্বাচনী জনসভায়।
3/5 এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী রাজস্থানে জানান, সেই রাজ্যে বিজেপি জিতলে পেট্রলের দাম ১১টাকা ৮০ পয়সা কমে যাবে। তাঁর দাবি অতিরিক্ত সেস বসানোর জন্য় রাজস্থানে পেট্রলের দাম গোটা দেশের মধ্য়ে সবথেকে বেশি। রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার এই অতিরিক্ত সেস বসিয়ে ৩৫,৯৭৫ কোটি টাকা আদায় করেছে।
4/5 উল্লেখ্য, পাঁচবছর আগে ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলাঙ্গানা এবং মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনের সময় দাম কমানো হয়েছিল পেট্রোল ও ডিজেলের। ২০২৩ সালেও কেন্দ্রীয় সরকার সেই একই পথে হাঁটতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছিল একাধিক রিপোর্টে। এর আগে ২০১৮ সালে লিটার পিছু আড়াই টাকা করে দাম কমেছিল পেট্রোল ও ডিজেলের। তবে এবার আর তেলের দাম কমানোর পথে হাঁটেনি কেন্দ্র।
5/5 এর আগে ২০২১ সালে দিওয়ালির সময় এক ধাক্কায় অনেকটা দাম কমানো হয়েছিল পেট্রোল ও ডিজেলের। সেবারে লিটার পিছু পেট্রোলের ওপর ধার্য শুল্ক কমানো হয়েছিল ৫ টাকা করে। ডিজেলের থেকে শুল্ক কমানো হয়েছিল ১০ টাকা করে। পরে বিভিন্ন রাজ্যও জ্বালানি তেলের শুল্ক কমিয়েছিল। এর ফলে বহু রাজ্যে পেট্রোলের দাম কমেছিল ৬ থেকে ৭ টাকা। ডিজেলের দাম কমেছিল ১১ থেকে ১২ টাকা।