High Air Fare: বিমান ভাড়া আর কি কোনওদিন কমবে? নিজের মত জানালেন এয়ার এশিয়ার প্রধান Updated: 01 Mar 2023, 08:15 AM IST Abhijit Chowdhury করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিশ্ব ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো ভ্রমণ করছে। তবে এরই মধ্যে বিমান ভাড়া আকাশছোঁয়া হয়েছে। ঘরোয়া উড়ান হোক কি আন্তর্জাতিক, বিমানের ভাড়া বেড়েছে অনেকটাই। এই বাড়তি ভাড়া কি শুধুমাত্র সাময়িক? নাকি এখন থেকে এই চড়া দামেই বিমানে চাপতে হবে মানুষজনকে? নিজের মত জানালেন এয়ার এশিয়ার সিইও। 1/5 কোভিড অতিমারির সময় আচমকাই থমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। লকডাউন জারি হয়েছিল বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরও বহুদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ওপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ। এই আবহে কোভিড জ্বরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পর্যটন শিল্প এবং বিমান সংস্থাগুলি। আর কোভিডের পরই লোকসান পুষিয়ে নিতে বেড়েছে বিমান ভাড়া। তবে এয়ার এশিয়ার সিইও টোনি ফার্নান্ডেজের মতে, এই ভাড়াই স্বাভাবিক। 2/5 তিনি বলেন, 'বর্তমানে বিমানের ভাড়া ভালো জায়গায় রয়েছে'। তাঁর মতে এর আগে বিমান সংস্থাগুলি ব্যবসা বাড়াতে অনেক কম টাকায় বিমানের ভাড়া নির্ধারণ করত। তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষ এই ভাড়া বৃদ্ধি দেখে স্তম্ভিত হচ্ছেন বটে। তবে আমরা নেপথ্যে থেকে এই ভাড়ার গ্রাফকে ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখেছি।' 3/5 প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরই বিমান পরিষেবার চাহিদা বেড়েছে বিশ্ব জুড়ে। এই আবহে দিনের পর দিন বসে থাকা বিমানগুলি ফের আকাশে উড়েছে। বিমান সংস্থাগুলি এই আবহে চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম বাড়িয়েছে বিমানের টিকিটের। এই আবহে এয়ার এশিয়া কর্তা বলেন, 'এটা বেশি ভাড়া নয়, আসল ভাড়া। আমার মনে হয় ২০১৯ সালেও এই ভাড়াতেই বিমান পরিষেবা দেওয়া উচিত ছিল সংস্থাগুলির।' 4/5 তিনি বলেন, 'মানুষ তিনবছর ভ্রমণ করতে পারেনি। বিমানে চাপতে পারেনি। তাই এখন এর আসল দাম বুঝতে পারছে তারা। যদি আপনি কোনও কিছু তিন বছর না পেয়ে থাকেন, তখন আপনি সেই জিনিসের আসল মর্ম বুঝবেন।' উল্লেখ্য, কোভিডের আগে 'কম ভাড়ায়' বিমান পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিল এয়ার এশিয়া। তবে বাকি বিমান সংস্থার সঙ্গে তাল রেখে তারাও বিমানের ভাড়া চড়িয়েছে। 5/5 বর্তমানে এয়ার এশিয়ার কাছে ২০০টি বিমান রয়েছে। এবং এই সবকটি এখন যাত্রী পরিষেবায় নিযুক্ত। এই বিষয়ে টোনি ফার্নান্ডেজ বলেন, 'এত কম সমেয়র মধ্যে ২০৪টি বিমানকে ফের আকাশে ওড়াতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এটা চারটি খানি কথা নয়। আমরা প্রাথমিক ভাবে ভেবেছিলাম আমরা পূর্ণ শক্তিতে পরিষেবা দিতে পারব ২০২৪ সালের মে মাস থেকে। তবে এবছর থেকেই আমরা পূর্ণ শক্তিতে পরিষেবা দিতে সক্ষম হব।'