বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Nipah Virus in Indian Bats: ভারতের এই জায়গার বাদুড়ে থাকতে পারে মারণ ভাইরাস, বলছে খোদ সরকার
Nipah Virus in Indian Bats: ভারতের এই জায়গার বাদুড়ে থাকতে পারে মারণ ভাইরাস, বলছে খোদ সরকার Updated: 26 Oct 2023, 07:01 AM IST Abhijit Chowdhury বিগত কয়েক মাসে কেরলে আতঙ্কের নাম ছিল নিপা ভাইরাস। এই আবহে বুধবার কেরল সরকার জানাল, সম্ভবত ওয়ানাড় জেলার বাদুড়েই থাকতে পারে নিপা ভাইরাস। শুধু ওয়ানাড় নয়, আরও একাধিক জায়গার বাদুড়ে নিপা ভাইরাস থাকতে পারে। আইসিএমআর-এর এক রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কেরল সরকার। 1/5 নিপা ভাইরাসের আতঙ্কে কেরলে বহু এলাকা রীতিমতো 'সিল' করে দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে এই ভাইরাসের উৎসের সন্ধানে চলছিল গবেষণাও। আইসিএমআর এর জন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছিল। তার ওপর পরীক্ষা চালিয়েছিল। সেই পরীক্ষায় উঠে আসে যে ওয়ানাড় সহ বেশ কিছু জেলার বাদুড়ে নিপা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা আছে। 2/5 রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, আইসিএমআর-এর গবেষণার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে সম্ভবত ওয়ানাড়ের বাদুড়ে নিপা ভাইরাস থাকতে পারে। তবে মন্ত্রী আরও বলেন, এর অর্থ এই নয় যে নতুন করে সেখানে নিপা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। তবে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করতেই এই তথ্য দিয়েছে আইসিএমআর। 3/5 এদিকে বীণা জর্জ জানান, শুধুমাত্র যে ওয়ানাড়ের বাদুড়েই নিপা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা আছে, এমনটা নয়। কেরলের অন্যান্য জেলার বাদুড়েও এই ভাইরাস থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। এর আগে গত মাসে কোঝিকোড়ে জেলার ৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন নিপা ভাইরাসে। তাদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সকল ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের একান্তবাসে রাখা হয়েছিল। 4/5 সাধারণ নিপা ভাইরাসের মৃত্যুর হার ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ হয়ে থাকে। এর জেরেই এই ভাইরাস নিয়ে এত বেশি আতঙ্ক। তবে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, কেরলে নিপা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশ আটকাতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এর জন্য সরকার বেশ কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করেছিল বলে জানান বীণা। নিপা ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্রও নির্মাণ করা হয়। 5/5 বিশেষজ্ঞদের দাবি ফল খাদক বাদুড় থেকে ছড়ায় এই নিপা ভাইরাস। অনেক সময় খেজুর গাছে রসের হাঁড়িতে মুখ দেয় বাদুড়। সেই রস খেলে মানুষের শরীরেও নিপা ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে হঠাৎ জ্বর আসতে পারে। সঙ্গে হতে পারে মাথা ব্যাথা, পেশিতে টান, ও বমি। মাত্র সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে কোনও রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন।