বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > NZ vs PAK, 2nd T20I: জিততেই ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান, বাবর-ফকরের হাফসেঞ্চুরি জলে গেল, কিউয়িদের কাছে ফের লজ্জার হার
NZ vs PAK, 2nd T20I: জিততেই ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান, বাবর-ফকরের হাফসেঞ্চুরি জলে গেল, কিউয়িদের কাছে ফের লজ্জার হার Updated: 14 Jan 2024, 04:27 PM IST Tania Roy ফের হারল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হেরে বসে থাকল তারা। এই ম্যাচে অবশ্য বাবর আজম এবং ফকর জামান হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতার জেরে সেই ইনিংস দু'টি জলে গেল। 1/7 বাবর আজমের সামনে সুযোগ ছিল সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেই জবাবটা দিতেই পারতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু পারলেন না বাবর। ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করলেও, দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না। হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ২১ রানে হেরে বসে থাকল পাকিস্তান। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ১৭৩ রানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। 2/7 শেষ ৪ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। ক্রিজে বাবরের সঙ্গে ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল, কিন্তু মিচেল স্যান্টনারের এক ওভারে ১৭ রান নিয়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরান এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে বেন সিয়ার্সের বলে ইনিংসে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে বাবর আউট হয়ে গেলে, পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। 3/7 টস জিতে এদিন নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। এই ম্যাচেও পাকিস্তানের বোলারদের বেধড়ক পেটান ফিন অ্যালেন। ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম উইকেটে গড়েন ৩১ বলে ৫৯ রানের জুটি। কনওয়ে ১৫ বলে ২০ রান করে আমের জামালের বলে আউট হলেও, কিউয়িদের রানের গতি কমেনি। কেন উইলিয়াসনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন অ্যালেন। তবে উইলিয়ামসন চোট পেয়ে ছাড়লে এই জুটিও ভেঙে যায়। ম্যাচের ১১তম ওভারে হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন। মাঠ ছাড়ার আগে করেন ১৫ বলে ২৬। বাড়তি সতর্কতার জন্য এই ম্যাচে আর মাঠেই নামেননি তিনি। ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়কত্ব করছেন টিম সাউদি। 4/7 দলীয় ১১১ রানে উইলিয়ামসন মাঠ ছাড়লে, ক্রিজে আসেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা ড্যারিল মিচেল। তবে একপ্রান্তে কাজের কাজটা করতে যান অ্যালেন। ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন অ্যালেন। এর পর ৪২ বলে ৭৪ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে উসামা মিরের বলে আউট হন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ অর্ধশতরান ছিল অ্যালেনের। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ৫টি ছক্কা। ১৫ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৫৩। সেখান থেকে দারুণভাবে ফিরে আসে পাকিস্তানের বোলাররা। 5/7 এর আলস কৃতিত্বটা প্রাপ্য পাকিস্তানের তারকা পেসার হ্যারিস রউফের। পাওয়ার প্লের মধ্যে প্রথম দুই ওভারে ৩০ রান দেওয়া এই পেসার শেষ দুই ওভারে দিয়েছেন ৮ রান। নিয়েছেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তান রান দিয়েছে ৪১। উইকেট নিয়েছে ৫টি। আগের ম্যাচে ৪৬ রান দেওয়া আফ্রিদি এই ম্যাচে রান দিয়েছেন ৩০। যদিও কোনও উইকেট পাননি। মিডিয়াম পেসার আব্বাস আফ্রিদি ৪৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আমের এবং উসামা ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন। 6/7 রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১০ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সাইম আয়ুব (১) এবং মহম্মদ রিজওয়ান (৭) ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরলে হাল ধরেন বাবর আজম এবং ফকর জামান মিলে। তৃতীয় উইকেটে তারা ৮৭ রান যোগ করে। তখন মনেও হয়েছিল, হয়তো পাকিস্তান এই ম্যাচটি বের করে নেবে। কিন্তু ৩টি চার এবং পাঁচটি ছক্কার হাত ধরে ২৫ বলে ৫০ করে ফকর আউট হলে ফের চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। 7/7 বাবর একদিকের উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকলেও, উল্টোদিকের কেউই থিতু হতে পারেননি। একমাত্র আফ্রিদি ১৩ বলে ২২ রান করে কিছুটা সঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বাবর আউট হওয়ার পর, আফ্রিদিও সাজঘরে ফিরে যান। ১৯.৩ ওভারের ১৭৩ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের অ্যাডাম মিলনে একাই ৪ উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি, বেন সিয়ার্স এবং ইশ সোধি।