একদা এনডিএ-তেই ছিল নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল। তবে মোদী জমানায় এনডিএ থেকে বেরিয়ে যায় বিজেডি। তবে সাম্প্রতিককালে নবীন পট্টনায়েক বিজেপিকে নিয়ে সুর নরম করেছেন। একাধিক ইস্যুতে সংসদে তাঁর দল বিজেপিকে সমর্থন করেছে। আর এখন সরাসরি মোদীর প্রশংসা করতে শোনা গেল নবীন পট্টনায়েককে।
1/5 রবিবার নবীন পট্টনায়েক মোদীর প্রশংসা করে বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ নম্বরে ৮ দেবেন তিনি। নবীন বলেন, 'বিদেশ নীতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকার যা কাজ করেছে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সরকার যা করেছে, তার ভিত্তিতে ১০ নম্বরে আমি মোদীকে ৮ নম্বর দেব। মোদী দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করেছেন। তিনি দেশের মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।'
2/5 রবিবার নবীন পট্টনায়েক মোদীর প্রশংসা করে বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১০ নম্বরে ৮ দেবেন তিনি। নবীন বলেন, 'বিদেশ নীতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকার যা কাজ করেছে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সরকার যা করেছে, তার ভিত্তিতে ১০ নম্বরে আমি মোদীকে ৮ নম্বর দেব। মোদী দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করেছেন। তিনি দেশের মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।'
3/5 এদিকে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক প্রসঙ্গে নবীন পট্টনায়েক বলেন, 'কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের সরকার মধুর। উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা জরুরি।' এদিকে নিজের সরকারেরও প্রশংসা করেন নবীন পট্টনায়েক। তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্য সরকারের অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, চাষাবাসের দিকে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটছে। আমাদের মহিলারা স্বাবলম্বী হয়েছে। আমাদের রাজ্যের বাসিন্দারা অনেক আত্মবিশ্বাসী।'
4/5 উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সঙ্গে নবীন পট্টনায়েকের সম্পর্ক ভালো থাকলেও রাজ্যের রাজনীতিতে তাঁর দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। এই আবহে তিনি রাজ্যের উন্নয়নের খাতিরে যেভাবে কেন্দ্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, তা নজর কেড়েছে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। পড়শি রাজ্য বাংলাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করে আসে। সেখানে ওড়িশা কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে ক জকরে চলেছে।
5/5 এদিকে গত ২০১৯ সালে ওড়িশাতে বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবারে ২১টির মধ্যে বিজেডি জিতেছিল ১২টি আসন। এদিকে কড়া টক্কর দিয়ে বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন। কংগ্রেস জিতেছিল মাত্র একটি আসনে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে বিজু জনতা দলকে কোনও টক্করই দিতে পারেনি বিজেপি। একই সঙ্গে নির্বাচন হলেও লোকসভার থেকে পুর ভিন্ন চিত্র ছিল বিধানসভায়। সেখানে ১১২টি আসন জিতেছিল নবীনের দল। বিজেপি জিতেছিল মাত্র ২৩টি আসন। কংগ্রেস জেতে ৯টি আসনে।