পাকিস্তানের বেহাল অর্থনীতির বিষয়ে এতদিনে গোটা বিশ্ব অবগত। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানের গত অর্থবর্ষের 'রিপোর্ট কার্ড'। স্বভাবতই তাতে দেখা গিয়েছে যে সেদেশের ঘাড়ে ঋণের বোঝা আরও বেড়েছে। তবে আপনি কি জানতেন যে পাকিস্তানের থেকে ভারতের নেওয়া ঋণের পরিমাণ কয়েক গুণ?
1/6 সদ্য প্রকাশিত তথ্যে জানা গিয়েছে, এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৫৮.৬ লক্ষ কোটি (ভারতীয় মুদ্রায়) হয়েছে। অর্থাৎ, ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশটির জাতীয় ঋণ নেওয়ার হার ৩৪.১ শতাংশ বেড়েছে। পাকিস্তানি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
2/6 মাসিক ভিত্তিতে পাকিস্তানের ঋণের বোঝা বেড়েছে ২.৬ শতাংশ। পাক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এপ্রিলের শেষে দেশীয় ঋণ ৩৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা কি না পাক সরকারের নেওয়া মোট ঋণের ৬২.৩ শতাংশ। এদিকে পাকিস্তানের ঘাড়ে চেপে থাকা বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২২ লক্ষ কোটি টাকা। যা সেদেশের সরকারের নেওয়া মোট ঋণের নিরিখে প্রায় ৩৭.৭ শতাংশ।
3/6 স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) তথ্য অনুসারে, সেদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বেড়ে ৪৯.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এক মাস আগেও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ একই ছিল। সম্প্রতি আইএমএফ-এর কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণের আবেদন করেছিল পাক সরকার। তবে সেই ঋণের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
4/6 এদিকে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৩.১৪ কোটি। এই আবহে সেদেশের জনগণের ওপর মাথাপিছু ঋণের বোঝার পরিমাণ হল প্রায় ২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। সেদেশে এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিগত দিনে পাক মন্ত্রী চা খেতে বারণ করেন দেশবাসীকে। এদিকে বিদ্যুৎ বাঁচাতে শপিং মল রাত আটটার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সরকারি অফিসে দিনের বেলায় আলো বন্ধ রাখা হয়।
5/6 এদিকে গত ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ভারতের থেকে প্রায় তিনগুণ। বাজেট পেশের সময়ে ভারতের মাথায় ঋণের বোঝা ছিল ১৫২.৬ লাখ কোটির। এই অর্থবর্ষে আরও প্রায় ১৬ লাখ কোটির ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছিল কেন্দ্র। এদিকে ভারতীয় জনগণের মাথাপিছু ঋণের বোঝা পাকিস্তানের থেকে অনেক কম - ১.১৬ লাখ। এদিকে জাতীয় ঋণ ও জিডিপির অনুপাতের নিরিখে বিশ্বের গড়ের থেকে নীচেই রয়েছে ভারত।
6/6 বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাতীয় ঋণ রয়েছে আমেরিকার। কয়েকদিন আগেই তারা তাদের ঋণের সীমা আরও বৃদ্ধি করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ছিল ২৬৪ শতাংশ। জাপানের ক্ষেত্রে তা ৪২৬ শতাংশ, চিনের ক্ষেত্রে ২৯৫ শতাংশ, ব্রিটেনের ক্ষেত্রে ২৫৭ শতাংশ। এদিকে ভারতের ক্ষেত্রে এই অনুপাত মাত্র ১৭০ শতাংশ।