পিএফ তহবিলে সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে বসেছিলেন অনেক সঞ্চয়কারী। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দিল ইপিএফও। ইপিএফও-র বোর্ড সাম্প্রতিক বৈঠকেও শেয়ারে বিনিয়োগের সীমা ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব বিবেচনা করেনি। ইপিএফও-র ট্রাস্টি হরভজন সিং এই তথ্য জানিয়েছেন। শেয়ারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি না হওয়ায় পিএফ-এর সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও মাটি হয়ে যায়।
1/4হরভজন সিং বলেছেন, ‘২৯ এবং ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের ২৩১তম বৈঠকে শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি।’ সভায় কর্মচারীদের প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন যে শেয়ার বাজারের অস্থির প্রকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বিরোধ আসে। ইপিএফও-র বিনিয়োগ বিন্যাস সংশোধন করার আগে তাই আরও বিশদ আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
2/4শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় আলোচ্যসূচি সংশোধন করা হয়। এর আগে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের হার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে শেয়ার বা সংশ্লিষ্ট স্কিমে বিনিয়োগ বাড়ানোর সেই প্রস্তাব পরে প্রত্যাহার করা হয়।
3/4বর্তমানে ইপিএফও শেয়ার বা শেয়ার সম্পর্কিত স্কিমে মোট আমানতের পাঁচ থেকে ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। ফিনান্স অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিটি (এফএআইসি) ইপিএফওকে পরামর্শ দেয়, এই সীমাকে ২০ শতাংশ করা যায়। সুপারিশটি ইপিএফও-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা সিবিটি-র বিবেচনা করার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধিতার কারণে তা করা যায়নি।
4/4এই প্রস্তাবকে অনুমোদন দেওয়া হলে পিএফ-এর সুদের হার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আসলে, ইপিএফও শুধুমাত্র বিনিয়োগ থেকে রিটার্নের ভিত্তিতে পিএফ-এ সুদের হার নির্ধারণ করে। রিটার্ন যত বেশি, সুদের হার তত বেশি।