Govt Employees on DA: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরাসরি মিথ্যেবাদী বলে আক্রমণ শানাল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার হলফনামা পেশ করে দাবি করেছে, সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। তারপরই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সরকারি কর্মচারীরা।
1/6 ‘রাজ্য এক নম্বরের মিথ্যেবাদী’, বকেয়া DA নিয়ে মমতাদের হলফনামায় হুঁশিয়ারি কর্মীদের।
2/6 বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সরকারি কর্মচারীরা। দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্য সরকার হলফনামা পেশ করে দাবি করেছে, সরকারি কর্মচারীদের কোনও ডিএ বকেয়া নেই। তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরাসরি মিথ্যেবাদী বললেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
3/6 রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক বিজয়শংকর সিং বলেন, ‘মিথ্যা হলফনামা পেশ করেছে (রাজ্য সরকার)। নির্ভেজাল মিথ্যে ছিল, আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) আমাদের নায্য এবং আইনি অধিকার, আমাদের হক।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)
4/6 রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক বলেন, 'গত ৩০ অগস্ট রাজ্যজুড়ে কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা দু'ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছিলেন। দার্জিলিং থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত সরকারের বঞ্চনার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আমরা শুধু বলব, সরকার যদি কয়েকদিন ইতিবাচক সাড়া না দেয়, আইনি অধিকারে স্বীকৃতি না দেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। সেজন্য সরকার দায়ী থাকবে। আমরা এটা মেনে নেব না।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)
5/6 একইসুরে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সরকার এক নম্বরের মিথ্যেবাদী। সরকার যদি এই ধরণের বক্তব্য পরিবেশন করে, তাহলে বলব যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে অবমাননা করেছে রাজ্য সরকার। আগামিদিনে এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করবেন না। কীভাবে একটা রাজ্য সরকার আদালতে মিথ্যে বলতে পারে, সেটা ভেবেই আমরা অবাক হচ্ছি। আদালত যদি আমাদের থেকে হলফনামা তলব করে, তাহলে আমরা পুরো তথ্য দিতে তৈরি আছি।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)
6/6 গত ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ ১৯ অগস্টের মধ্যে সেই কাজটা করতে হত রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার সপ্তাহদেড়েক আগে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে নবান্ন। আজ সেই মামলা শুনবে হাইকোর্ট। সঙ্গে কনফেডারেশনের দাখিল করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে (ইউনিটি ফোরাম ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফেও আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে)। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)