১৯৯৪ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’র প্রতিযোগিতার দৌড়ে মায়ের বকুনি খেয়ে ফের যোগদান করেন সুস্মিতা সেন। ছিনিয়ে নেন সেরার মুকুট। বাকিটা ইতিহাস..
1/8 ১৯৯৪ সালের ‘মিস ইন্ডিয়া’ প্রতিযোগিতা থেকে একসঙ্গে লড়েছিলেন ঐশ্বর্য রায় এবং সুস্মিতা সেন। যদিও প্রথমে প্রতিযোগিতা থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন সুস্মিতা।
2/8 মিস ইন্ডিয়া (Miss India) প্রতিযোগিতায় যখন ঐশ্বর্য নাম দিয়েছিলেন তখন তিনি মডেল হিসেবে যথেষ্ট পরিচিত মুখ। পরে যদিও ফের নাম জমা দিয়েছিলেন সুস্মিতা। কিন্তু সেই বছরই ঐশ্বর্যকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন সুস্মিতা সেন। সুস্মিতাই জিতে নিয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়ার সেই বছরের বিজয় মুকুট।
3/8 প্রয়াত অভিনেতা ও সঞ্চালক ফারুখ শেখের জিনা ইসিকা নাম হ্যায় শো-তে একবার অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। সেখানেই স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার ফর্ম জমা দিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন ঐশ্বর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন।
4/8 সুন্দরী হিসেবে নাম-ডাক ঐশ্বর্যর। একইসঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, আরও ২৫ জন মডেল প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছেন। ঐশ্বর্য আছে ভেবে অংশগ্রহণ করে লাভ নেই। জেতার কোনও আশা ছিল না বলে মনে করেছিলেন তাঁরা।
5/8 সুস্মিতা তখনই ফর্ম ফেরত নিয়ে নেন বলে জানিয়েছেন। তিনি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন যেন তাঁর নামও কেটে দেওয়া হয়। সুস্মিতা জানান এই ঘটনার কথা ঐশ্বর্যও জানেন। ঐশ্বর্যর নাম শুনে পিছিয়ে যাওয়ার কথা নিজেই ওঁকে জানিয়েছিলেন সুস্মিতা।
6/8 কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পরই মায়ের কাছে বকা খান সুস্মিতা। তাঁর মা তাঁকে বলেন, ‘প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই তুমি হেরে গিয়েছ। যদি মনে করো যে ঐশ্বর্য এই বিশ্বের সেরা সুন্দরী, তা হলে তার কাছে হারতে অসুবিধা কোথায়?’
7/8 মায়ের কথা শুনে প্রতিযোগিতায় যোগ দেন সুস্মিতা। সবাইকে চমকে দিয়ে মুকুট জেতেন তিনি। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ঐশ্বর্য। পরবর্তীকালে ঐশ্বর্যকেও তিনি নিজে এই গল্প বলেছিলেন। বিশ্বসুন্দরী ও ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর তকমা পেয়ে বলিউডে সফল কেরিয়ার শুরু করেন সুস্মিতা এবং ঐশ্বর্য।
8/8 সেই সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, ‘আসলে ওঁকে এতটাই সুন্দর দেখতে যে ওঁর পাশে দাঁড়ালে আমায় কেমন লাগবে এই ভেবেই নিজের নাম তুলে নিয়েছিলাম আমি’। আজ তিনি বলিউডের প্রথম সারির অন্যতম সফল অভিনেত্রী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক সুন্দরীর খেতাব।