বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Nusrat Jahan: অবশেষে মুখ খুলেছন নুসরত, তারপরই দুর্নীতি নিয়ে নয়া বিস্ফোরণ শঙ্কুদেবের
Nusrat Jahan: অবশেষে মুখ খুলেছন নুসরত, তারপরই দুর্নীতি নিয়ে নয়া বিস্ফোরণ শঙ্কুদেবের Updated: 03 Aug 2023, 08:00 AM IST Abhijit Chowdhury নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে 'সাফাই' দেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। আর তারপর ফের দুর্নীতি নিয়ে নয়া বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। 1/5 গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত দাবি করেন, তিনি ঋণ নিয়েছিলেন, পরে তা শোধও করেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, 'দয়া করে এই ঘটনাতে রাজনৈতির রঙ চড়াবেন না। কারণ এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।' নুসরতের দাবি, যে সংস্থা ঘিরে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, সেই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তিনি সম্পত্তি কেনেন, আর তার ঋণ, তিনি সুদ সমেত ফিরিয়েও দেন। 2/5 এদিকে নুসরতের 'সাফাই' দেওয়া হয়ে গেলে শঙ্কুদেব ফের একবার অভিযোগ করেন, ‘সেভেন সেন্সেস’ নামে সংস্থার থেকে নুসরত কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন এবং সেই টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। শঙ্কুদেব বলেন, 'নুসরত নিজেই বলছেন তিনি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। অথচ সংস্থার সিদ্ধান্ত জানেন না? ২৪-২৫ কোটি টাকা তোলা হল সেটাও জানেন না?' 3/5 এদিকে নুসরতের বক্তব্য, বাড়ি কিনতে সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। যদিও শঙ্কুদেবের দাবি, ওই সংস্থা থেকে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অভিনেত্রী। সাংবাদিকদের সামনে চেক নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করে এই দাবি করেন বিজেপি নেতা। তাঁর আরও দাবি, কখনও ৫ লাখ, কখনও ২৫ লাখ, কখনও ৩৭ লাখ টাকা করে কোম্পানি থেকে এখাধিকবার টাকা তুলেছিলেন নুসরত। 4/5 তাঁর আরও অভিযোগ, সংস্থার সব কাণ্ড জেনেই সুযোগ বুঝে পদত্যাগ করেছিলেন বসিরহাটের সাংসদ। এর আগে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্র দাবি করেছিলেন, একটা সময় নুসরত ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাকেশের সঙ্গে নুসরত সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন বলে দাবি করেছেন রূপলেখা। 5/5 এদিকে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৪ সালে তাঁর সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে। যদিও প্রায় ৯ বছর কেটে যাওয়ার পর আজও ফ্ল্যাট পাওয়া যায়নি। সেই সময় নাকি নুসরতের সংস্থা দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে এই ৪২৯ জনকে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মোট ২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।