বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 6th Pay Commission DA Protest: ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীদের 'লোভী' আখ্যা, বিস্ফোরক তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি
6th Pay Commission DA Protest: ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীদের 'লোভী' আখ্যা, বিস্ফোরক তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি Updated: 17 Mar 2023, 09:58 AM IST Abhijit Chowdhury ডিএ আন্দোলকরীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, 'আন্দোলরত সরকারি কর্মীরা অতিরিক্ত অর্থের লোভে রাস্তায় নেমেছেন।' পাশাপাশি তিনও এও দাবি করেন, ডিএ নিয়ে আন্দোলন করে কোনও লাভ হবে না। পাশাপাশি ডিএ ইস্যুতে 'প্ররোচনা' দেওয়ায় বামেদের তোপ দাগেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া নেতা। 1/5 জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'মূল্যবৃদ্ধি হলে অর্থ চাইতেই পারে। তবে মূল্যবৃদ্ধির জেরে কেবলমাত্র সরকারি কর্মীরা নয়, শ্রমজীবী খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকেও ভুগতে হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা চাকরিতে ঢোকার সময় শপথ নিয়েছিলেন যে মানুষকে পরিষেবা দেবেন। আর সেই পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে সব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে অতিরিক্ত অর্থের লোভে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা।' 2/5 তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি আরও বলেন, 'সিপিএমের প্ররোচনায় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ডিএ মামলা করিয়েছেন। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। তাঁদেরকে আবার রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য। এরা যে অমানবিক কাজ করছে তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে। আন্দোলনকারীরা মানুষের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে অবরোধ ও বিক্ষোভ, এমনকি বনধের পথে হেঁটেছে।' 3/5 আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে জয়প্রকাশের মন্তব্য, 'সরকারি কর্মচারীরা পাবলিক সার্ভেন্ট বলে পরিচিত। তবে তাঁরাই বনধের দিন হয়ে যাচ্ছেন পাবলিক এনিমি, গণশত্রু। তাঁরা বলে দিচ্ছেন যে মানুষের কাজ তাঁরা করবেন না। মূল্যবৃদ্ধি হয়ে থাকলে যে ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী নন, তিনিও তো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই এই আন্দোলন করে কিছু হবে না।' 4/5 এদিকে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন। 5/5 এদিকে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কর্মীদের উদ্দেশে সরকারের বিভিন্ন দফতরের তরফে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১০ মার্চ তাঁরা কেন অফিসে আসেননি, তার সন্তোষজনক জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। জবাব সন্তোষজনক না হলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ পড়বে। পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধায় সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এর জেরে।