বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Ukraine Russia War: ইউক্রেন দখলের অঙ্কে রাশিয়ার নজরে ৫ শহর, কোন ছকে প্রতিবেশীকে কাবু করতে চান পুতিন?
Ukraine Russia War: ইউক্রেন দখলের অঙ্কে রাশিয়ার নজরে ৫ শহর, কোন ছকে প্রতিবেশীকে কাবু করতে চান পুতিন? Updated: 02 Mar 2022, 01:38 PM IST Abhijit Chowdhury বিগত ৭ দিন ধরে টানা লড়াই করে এখনও ইউক্রেন দখল করতে ব্যর্থ ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। রাজধানী কিয়েভের খুব কাছে গিয়ে পৌঁছেছে রুশ বাহিনী। এদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের একটি আবাসিক ব্লকে বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। আজকে সেখানে প্যারাট্রুপার নামানো হয়েছে। এর আগে খারকিভের কেন্দ্রে রুশ বাহিনীর রকেট হামলায় ৩৫ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন। এই খারকিভেই গতকাল মৃত্যু হয় ভারতীয় পড়ুয়ার। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন হেরাশচেঙ্কো বলেছেন, ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাছাড়াও একাধিক শহরে নজর রয়েছে রুশ বাহিনীর। একনজরে দেখুন কোন শহরের কী গুরুত্ব। 1/5 কিয়েভ (Kyiv) - ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ একটি অতি প্রাচীন শহর। এটা আধুনিক রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েরই জন্মস্থল। কিয়েভের প্রাচীন গির্জাগুলি তাদের সোনার গম্বুজের জন্য পরিচিত। ১৯৯১ সাল থেকে স্বাধীন ইউক্রেনের রাজধানীতে ২.৯ মিলিয়ন মানুষের বাস। শহরটি ২০০১ সালে তার ১৫০০ তম বার্ষিকী উদযাপন করে। এখানে অবস্থিত ১৬ শতকের কিভ-পেচেরস্ক লাভরা মঠ ও সেন্ট সোফিয়ার চার্চ উভয়ই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। রাশিয়া এই শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। এই শহরটি যেহেতু দেশের রাজধানী এবং দেশটির সরকার এখানেই স্থিত, তাই রাশিয়া এটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেশটির সরকারের পতন করতে চায়। পুতিন নিজেও বহুবার ইউক্রেনের সরকারের পতনের ঘোষণা করেছেন। 2/5 খারকিভ (Kharkiv) - ইউক্রেনের এই শহরটি রাশিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে। প্রধানত রাশিয়ান ভাষাভাষী জনগণের বাসস এই শহরে। মোট ১.২ মিলিয়ন বাসিন্দার শহর এটি। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ান বাহিনী এই শহর দখলের জন্য মরিয়া হামলা শুরু করছে। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই শহরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর ফের একবার এই শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে এই শহরকে কেন্দ্র করেই পূর্ব ডোনবাস অঞ্চলে সরকারী বাহিনী এবং রাশিয়ান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয চলে আসছে। সংঘাতের জেরে পালিয়ে আসা কয়েক হাজার লোকের বাস এই শহরে। যেহেতু এই শহরটি ডোনবাসের কাছাকাছি, তাই রাশিয়া এই শহর দখল করে কৌশলগত সুবিধা পেতে চায়। 3/5 মারিউপোল (Mariupol) - আজভ সাগরের পাড়ে একটি প্রধান বন্দর শহর। ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকেই এই শহরের দিকে নজর ছিল রাশিয়া। ২০১৪ সালে কিয়েভের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শুরুতে ডোনেত্স্ক থেকে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মারিউপোল দখল করেছিল। যদিও পরে ফের ইউক্রেনিয়ান বাহিনী এই শহর পুনরায় দখল করে নেয়। দেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত শহরটি বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়ান উপদ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। মঙ্গলবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এই শহরটি দখলের দাবি করে। যেহেতু এই শহরটি ক্রাইমিয়ার কাছে, তাই এটি দখল করা রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, বিগত আটবছর ধরে ক্রাইমিয়া রাশিয়ার দখলে রয়েছে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলিকে এই অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। 4/5 বারদিয়ানস্ক (Berdyansk) - সোমবার রাশিয়ান বাহিনী ক্রাইমিয়া থেকে অগ্রসর হওয়ার পর আজভ সাগরের তীরে বারদিয়ানস্ক বন্দরটি দখল করে বলে দাবি করে। এক লক্ষ বাসিন্দার এই রিসোর্ট শহরটি এর সৈকতের জন্য বিখ্যাত। বছরে আধআ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক এখানে আসেন। এই শহরটি মারিউপোল থেকে উপকূল বরাবর মাত্র ৮৪ কিলোমিটার দূরে। 5/5 খেরসন (Kherson) - ক্রাইমিয়া থেকে আসা রুশ বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে খেরসনকে। শহরটি ডিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত একটি কৌশলগত বন্দর। ক্রাইমিয়ান উপদ্বীপ রক্ষার জন্য একটি অত্যন্ত কৌশলগত শহর। শহরটি একসময় রাশিয়ান ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ঘাঁটি ছিল। এটি দখল করতে পারলে রাশিয়ার জন্য পশ্চিমে ওডেসা পর্যন্ত পথ খুলে যাবে। ওডেসায় বেশিরভাগ মানুষই রুশ-ভাষী। ন্যাটো-সদস্য রোমানিয়া এবং মোলদোভার সাথে সীমান্ত রয়েছে এর।