বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Amit Shah slams Gandhis: 'মন ইতালিয়ান হলে বুঝবে না', ৩ ফৌজদারি আইন নিয়ে গান্ধীদের খোঁচা শাহের
Amit Shah slams Gandhis: 'মন ইতালিয়ান হলে বুঝবে না', ৩ ফৌজদারি আইন নিয়ে গান্ধীদের খোঁচা শাহের Updated: 21 Dec 2023, 02:18 PM IST Abhijit Chowdhury আইপিসি এবং সিআরপিসির বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা কার্যকর করতে সংসদে পেশ করা হয়েছে ৩টি বিল। লোকসভায় সেই তিনটি বিল পাশ হয় গতকালই। সেই বিল নিয়ে আলোচনার সময়ই নাম না করে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের খোঁচা দিলেন অমিত শাহ। 1/6 গতকাল লোকসভায় ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল পেশ করে নাম না করে গান্ধীদের খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ গতকাল বলেন, 'এই প্রথমবার আমাদের দেশের সংবিধানের মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে আমাদের আইন তৈরি হচ্ছে। এর আগে কিছু মানুষ বলত আমরা নাকি আইন বুঝি না। তবে আমি বলতে চাই, যাদের মন ইতালিয়ান, তাঁদের কাছে নতুন আইনগুলি বোধগম্য হবে না।' 2/6 এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে পরিবর্তন প্রসঙ্গে সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, 'ব্রিটিশদের আনা রাষ্ট্রদ্রোহের আইনের অবসান ঘটেছে। এখন দেশের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কেউ যা কিছু বলতে পারে। কিন্তু কেউ দেশের পতাকা, নিরাপত্তা বা সম্পত্তির ক্ষতি করলে তাকে জেলে যেতে হবে। এটা ইংরেজ বা কংগ্রেসের শাসন নয়। বিজেপির শাসনকালে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না।' 3/6 অমিত শাহ বলেন, 'ব্রিটিশদের আনা ১৫০ বছরের পুরনো তিনটি আইনে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আসছে এই তিনটি বিলের মাধ্যমে। আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করবে এই পরিবর্তিত আইনগুলি। ভারতীয় দণ্ডবিধির উদ্দেশ্য ছিল শাস্তি দেওয়া, ন্যায়বিচার নয়। সিআরপিসিতে ৪৮৪টি বিভাগ ছিল, এখন এতে ৫৩১টি বিভাগ থাকবে। ১৭৭টি বিভাগে পরিবর্তন করা হয়েছে এবং ৯টি নতুন বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে। ৩৯টি নতুন উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে।' 4/6 অমিত শাহ আরও বলেন, 'ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে গরিবদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল অর্থ। বছরের পর বছর ধরে কোনও এক মামলা চলতেই থাকে। পুলিশ বিচার ব্যবস্থাকে দায়ী করে। সরকার পুলিশ ও বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থাকে দায়ী করে। পুলিশ ও বিচার বিভাগ এই বিলম্বের জন্য পালটা সরকারকে দায়ী করে। এখন আমরা নতুন আইনে অনেক কিছুই পরিষ্কার করেছি।' 5/6 নয়া আইন কার্যকর হলে কীভাবে বদলাবে বিচার ব্যবস্থা? তা নিয়ে অমিত শাহ বলেন, 'এবার থেকে অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করার জন্য সাত দিন সময় পাবেন। বিচারককে সেই সাত দিনে শুনানি করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে মামলার ট্রায়াল শুরু করতে হবে। এখন যদি কেউ অপরাধের ৩০ দিনের মধ্যে তাদের অপরাধ স্বীকার করে তবে শাস্তি কম হবে। এর আগে বিচারের সময় নথি উপস্থাপনের কোনও বিধান ছিল না। আমরা এটা বাধ্যতামূলক করেছি। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত নথি উপস্থাপন করতে। এতে কোনও বিলম্ব করা যাবে না।' 6/6 অমিত শাহ বলেন, 'নতুন এই আইনগুলিতে এমন সব অপরাধের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে। এরপরই দেশের সুরক্ষা এবং সীমান্তের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এরপরে নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন এই আইনে ব্যক্তি থেকে ফোকাস সরিয়ে জাতির ওপর আনা হয়েছে।'