হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের মধ্যে
1/8 কারা কারা নির্বাচনে রয়েছেন- ত্রিস্তরীয় ভোট হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন তো আছেই, এছাড়াও এক তৃতীয়াংশ সেনেট ও হাউসে ভোট হচ্ছে। আমেরিকার প্রতিটি জেলা থেকে একজন প্রতিনিধি যান হাউসে। তাই যেই রাজ্য যত বড় সেখান থেকে তত বেশি সদস্য হাউসে যান। সেনেটের নিয়ম অন্য। প্রতিটি রাজ্য থেকে দুটি করে প্রতিনিধি যান সেনেটে। মোট ১০০ জন সদস্য থাকেন সেখানে, পৌরহিত্য করেন উপরাষ্ট্রপতি।
2/8 ইলেকটরাল কলেজ কি? সরাসরি রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয় না, প্রতিটি রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টর নির্বাচিত হয়, যারা ডিসেম্বর মাসে ইলেক্টরাল কলেজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে জয়ী চিহ্নিত করেন। ৪৮টি রাজ্যের ক্ষেত্রে যে প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছে, সব ইলেকটরাল কলেজ ভোট তাঁর কাছে যায়। মেইন ও নেব্রাস্কার ক্ষেত্রে নিয়মটি একটু আলাদা। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ায় বাইডেন জিতলেন, সেখানকার ৫৫টি আসনই তাঁর খাতায় গেল।
3/8 সব মিলিয়ে ৫৩৫ ইলেক্টর আছেন ৫০ রাজ্যে। এছাড়াও তিনজন আছেন ফেডারেল ক্যাপিটাল অফ ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ায়। সব মিলিয়ে ৫৩৮টি আসন আছে। তার মধ্যে ২৭০ ইলেকরাল কলেজ ভোট পেতে হবে জয়ের জন্য।
4/8 ভারতের মতো শুধু নির্ধারিত দিনে ভোট হয় না আমেরিকায়। এখানে অনেক দিন আগে থেকেই ডাকের মাধ্যমে বা বুথে গিয়ে ভোট দেওয়া যায়। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নিয়ম আছে। ভারতের মতো কোনও নির্বাচন কমিশন নেই যারা একটি নিয়মে সারা দেশে ভোট পরিচালনা করে। ৩ নভেম্বরের আগেই প্রায় ১০ কোটি ভোট পড়েছিল।
5/8 ভোট গণনা চলছে। কবে বা কখন শেষ হবে তা জানা নেই। পেনসেলভ্যানিয়ার মতো রাজ্যে কখন ডাকে আসা ভোট গণনা করা হবে তা স্পষ্ট নয়। ভোটের দিনেও অনেক রাজ্যে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা আছে। সবমিলিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে আইনি লড়াই হবে বলে মনে হচ্ছে।
6/8 আমেরিকায় অধিকাংশ রাজ্যেই আগে থেকেই মোটামুটি নির্ধারিত থাকে যে কোন দল জিতবে ঐতিহাসিক তথ্যের নিরিখে। ৫০টি রাজ্যের মধ্যে খান দশেক রাজ্য আছে যেগুলিতে মূলত লড়াই হয়। যেখানে বারবার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীরা যান ভোটভিক্ষা করতে। এবার সেরকম অনেক রাজ্যে এখনও ভোটের ফল আসেনি। তবে অনেক সেরকম রাজ্যে এগিয়ে ট্রাম্প যদিও সামগ্রিকভাবে তিনি কিছুটা পিছিয়ে আছেন।
7/8 তিনি জিতে গেছেন দাবি করে ট্রাম্প বললেন যে কিছু লোক প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। সেটা রোখার জন্য গণনা বন্ধ করার জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানান ট্রাম্প।