কলকাতার ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ট্রাম। সাম্প্রতিককালে সেই ট্রাম ধীরে ধীরে উধাও হয়েছে কলকাতার বুক থেকে। খিদিরপুর, বিধান সরণি, শ্যামবাজারের প্রাণ ছিল এই ট্রাম। তবে সম্প্রতি এই যানকেই কার্যত তুলে দেওয়া হবে বলে দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন রিপোর্টে। তবে আদালতে রাজ্য সরকার অন্য তথ্য দিল।
1/5 কলকাতা হাই কোর্টে এক হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনবীর সিং কাপুর জানান, রাজ্য সরকার শহরের ৭টি বন্ধ হওয়া রুটে ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সাতটি রুটে নতুন করে ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বালিগঞ্জের মতো বিধাননগর পর্যন্তও ট্রাম পরিষেবা চালুর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে সরকার।
2/5 সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ব্রিজেও ফের ট্রাম চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তাছাড়া ময়দান দিয়ে ট্রামের সেই ঐতিহ্যশালী রুটেও নতুন করে যাত্রী পরিষেবা শুরু করা হবে বলে আদালতে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। এদিকে কর্মব্যস্ত বিধাননগর থেকে তিনটি ট্রাম পরিচালনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে এসপ্ল্যানেড থেকে নতুন করে তিনটি রুটে চালু হবে ট্রাম পরিষেবা।
4/5 উল্লেখ্য, বর্তমানে শহরে মাত্র তিনটি রুটেই ট্রাম চলছে। শ্যামবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড (৫ নং রুট), গরিয়াহাট থেকে এসপ্ল্যানেড (২৫ নং রুট) এবং বালিগঞ্জ থেকে টলিগঞ্জ (২৪/২৯ নং রুট) রুটে বর্তমানে ট্রাম পরিষেবা বহাল রয়েছে। এই আবহে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও সাতটি রুটে ট্রাম যাত্রী পরিষেবা চালু করলে শহরে মোট ১০টি রুটে ট্রাম চলবে বলে জানানো হয়েছে।
5/5 উল্লেখ্য, দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতায় মেট্রোর কাজের জন্য বহু লাইনে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। এদিকে শিয়ালদা ফ্লাইওভার থেকে ট্রাম তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই সেতুর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে। এদিকে গ্যালিফ স্ট্রিট রুটে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল স্লথগতির যান চলাচলের কারণে। এভাবে ধীরে ধীরে কলকাতার বুক থেকে প্রায় সব রুটেই বন্ধ হয়েছিল ট্রাম পরিষেবা। তবে ফের একবার একাধিক রুটে ট্রাম পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার।