সোমবার তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং পরপর আফটারশকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়া। তুরস্কের পার্শ্ববর্তী সিরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশ লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় আতঙ্ক বাড়িয়ে ‘আফটারশক’ হানা দিয়েছে এই অঞ্চলে।
1/5 ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান রওনা দিয়েছে তুরস্কের উদ্দেশে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ইউক্রেনও এই দুই দেশের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকাজ। এই আবহে আসল মৃতের সংখ্যা কত হতে পারে, তা ভেবে অনেকেই আতঙ্কিত হচ্ছেন।
2/5 প্রথম দফায় ভারতের থেকে ত্রাণ সামগ্রী, এনডিআরএফ দল, বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড, ওষুধ, ড্রিলিং মেশিন এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হয়েছে তুরস্কে। গাজিয়াবাদের অষ্টম ব্যাটেলিয়ন এবং কলকাতার দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের দু'টি দল থেকে প্রায় ১০০ জন এনডিআরএফ কর্মী তুরস্কে গিয়েছেন। এরই মাঝে তুরস্ক এবং সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কার বার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
3/5 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে অনেকটাই। এখনও পর্যন্ত এই দুর্যোগ সম্পর্কিত প্রাপ্ত তথ্য পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।
4/5 তুরস্কের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে সেদেশে আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময় ও তার পরে ৪ হাজার ৭৪৮টি বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। এদিকে সিরিয়ার সরকার, সেখানকার হাসপাতাল ও উদ্ধারকর্মীরা দাবি করেছেন যে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ১ হাজার ৪৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।