শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরছেন প্যাভিলিয়নে। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পুড়ছে তাঁর ছবি। আর যখনই সাফল্য এসেছে, তখন দলের সঙ্গে কোলাজ তুলে ধরেছেন। নিজের 'ফেয়ারওয়েল' ভিডিয়োতে মহেন্দ্র সিং ধোনি আরও একবার নিঃশব্দে জানিয়ে দিলেন, সত্যিকারের নেতা তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার দু'লাইনের বার্তার সঙ্গে সঙ্গে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেন ধোনি। সেই ভিডিয়োতে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিভিন্ন মুহূর্তের কোলাজ তুলে ধরেন। সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে মুকেশের 'ম্যাঁ পল, দো পল কা সায়ার হুঁ'।
ভিডিয়ো শুরু হয় নিজের অভিষেক ম্যাচের রান আউট দিয়ে। তারপর আসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরানের ভিডিয়ো। ক্ষণিকের মধ্যেই আরও দুটি মুহূর্ত ধরা পড়ে। একটি ফ্রেমে মুথাইয়া মুরলীধরনের বলে আউট হয়ে ফিরছেন তিনি। অপরটিতে ২০০৭ সাল বিশ্বকাপের পর আগুনে পুড়ছে ধোনির ছবি।
সেখানে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়, যুবরাজ সিংয়ের ছয় ছক্কা আসে। কিন্তু যে ঘটনার পর বিশ্ব তাঁর অধিনায়কত্বে মুগ্ধ হয়েছিল, সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হাতে কোনও ছবি দেননি। নিজের অবশ্য একটি ছবি ছিল - মিসবা-উল-হক আউট হওয়ার পর মাঠেই উচ্ছ্বাস প্রকাশের ছবি। তারপর অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক সিরিজেও টিমের ছবি ছিল। পরে বিশ্বকাপের সময়ের দলের সঙ্গেই ছবি ছিল মূলত। এমনকী নেই বিশ্বকাপ হাতে ধরার ছবি, ওয়াংখেড়েতে সেই আইকনিক ছবিও। একটি নিজের মুহূর্ত ছিল, যেখানে তিনি সবার কাঁধে ছিলেন। একইভাবে ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সব ছবি দলের সঙ্গে আছে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জয়ের পর আনন্দের একটা ছবি আছে বটে। কিন্তু তাতে বেশি জোর দেননি। দলের সেলিব্রেশনের ছবিই অধিকাংশ সময়ে চলেছে।
সেই ভিডিয়ো দেখে ধোনি অনুরাগীদের বক্তব্য, মাহি তো এরকমই বরাবর। ব্যর্থতায় সময় নিজে এগিয়ে এসেছেন। সাফল্যে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ প্রান্তে এসে সেই রীতিতে যে ছেদ পড়বে নাপ্রত্যাশিত ছিল। তাই অনুরাগীদের কাঁদিয়েও মন জিতে নিলেন ‘সত্যিকারের ক্যাপ্টেন’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।