শুভব্রত মুখার্জি
বছরদুয়েক আগে ২০১৮ সালে যখন ভারত সাত দশক পরে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জিতেছিল, সেইসময় ব্যাট হাতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। সেই সিরিজে ১,১০০-এর বেশি বল খেলে ৫২১ রান করেছিলেন পূজারা। সিরিজজুড়ে প্রায় ৩১ ঘণ্টার অদম্য লড়াই চালিয়েও একটুও ক্লান্তি হননি তিনি। তিনি ক্রিজে এলেই অজি বোলারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ত।
সেই পূজারা যে দু'বছর বাদেও লড়াইয়ের দিক থেকে একটুও বদলাননি, তা হাড়েহাড়ে টের পেলেন অজিরা। তবে এবারের সিরিজে বারবার সমালোচিত হয়েছেন ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বারবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। অধিনায়ক রাহানে জানতেন, পূজারা হচ্ছে দলের সেই হিরে, যে খেলোয়াড়কে চিনতে ভুল করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। রাহানের সেই বিশ্বাসকে প্রতি ইনিংসে সম্মান জানিয়েছেন পূজারা। সিরিজে করেছেন মাত্র দুটি অর্ধশতরান। তবে ক্রিজে কাটিয়েছেন ২২ ঘণ্টারও বেশি সময়।
ব্রিসবেন টেস্টে তো ‘যোদ্ধা’-র ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। পঞ্চম দিনের সকালে যখন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জোস হ্যাজেলউডরা আগুন ঝরাচ্ছেন, তখন বুক চিতিয়ে লড়াই চালালেন তিনি। ২১১ বল খেলে ৫৬ রান করা তাঁর ইনিংসটা কোন অংশে শতরানের থেকে কম নয়। একের পর এক বল আছড়ে পড়েছে তার মাথায়, বুকে, হাতে। ছিটকে গিয়েছে হেলমেটের গার্ড। আঙুলের চোটে কাতরেছেন। আবার দাঁড়িয়ে উঠেই পরের বলটা খেলেছেন একদম ব্যাটের মাঝখান দিয়ে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৪ বার বল আছড়ে পড়েছে পূজারা শরীরে। শুভমন গিল, ঋষভ পন্তদের মতো তরুণদের সঠিক পথে চালনা করেছেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে। তাই গাব্বায় ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম কারিগর যে পূজারা, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।