প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় অব্যাহত। তৃতীয় দিনের শেষে ৬ উইকেটে ১৩২ করেছেন শাকিব আল হাসানরা। কেমার রোচ, আলজারি জোসেফের দাপটে বাংলাদেশের সব ব্যাটরারা আয়ারাম গায়ারাম। নাজমুল হোসেনের ৪২ ছাড়া বাকি ব্যাটারদের অবস্থা তথৈবচ।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট পতন শুরু হয় বাংলাদেশের। দলের মাত্র ৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। তামিম নিজেই ৪ রান করেন। আর এক ওপেনার মাহমুুদুল হাসান ১৩ রান করে আউট হন। এ ছাড়া আনামুল হক ৪, লিটন দাস ১৯, শাকিব আল হাসান ১৬ করে সাজঘরে ফেরেন। নাজমুলের ৪২ রান যেটুকু অক্সিজেন। ক্রিজে রয়েছেন নুরুল হাসান (১৬) এবং মেহেদি হাসান (০)।
কেমার রোচ ৩ উইকেট তুলে নেন। সেই সঙ্গে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ২৫০ উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর তালিকায় ছয়ে জায়গা করে নিয়েছেন কেমার রোচ। এ ছাড়া ২ উইকেট নিয়েছেন জোসেফ। জয়ডেন সিলস ১ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে লিগ টেবিলে লাস্টবয়ই রয়ে গেল বাংলাদেশ
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ২৩৪ রানে। লিটন দাস (৫৩) এবং তামিম ইকবাল (৪৬) ছাড়া বাকিরা কেউই তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। আধিনায়ক শাকিব ৮ রান করে আউট হন।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ডেন সিলস এবং আলজারি জোসেফ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ এবং কাইল মায়ের্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮ রানে অল আউট হয়। ১৭৪ রানের বড় লিড পায় ক্যারিবিয়ানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েট ৫১, জন ক্যাম্পবেল ৪৫ করে আউট হন। এ ছাড়া রেমন রেইফার করেন ২২ রান। এনক্রুমাহ বোনার অবশ্য ডাক করে সাজঘরে ফেরেন। জারমেইন ব্ল্যাকউড ৪০ করে আউট হন। তবে দলের হাল শক্ত হাতে ধরেন কাইল মায়ের্স।
মায়ের্স ২০৮ বলে ১৪৬ রান করেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৮টি চার এবং ২টি ছক্কা। এ ছাড়া জোসুয়া দ্য় সিলভা ২৯, আলজারি জোসেফ ৬, কেমার রোচ অপরাজিত ১৮, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ৯, জয়ডেন সিলস ৫ রান করেছেন। বাংলাদেশের খালিদ আহমেদ একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন। মেহেদি হাসান নিয়েছেন ৩ উইকেট। শোরিফুল ইসলাম নিয়েছেন ২ উইকেট।
যাইহোক এই মুহূর্তে ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে দ্বিতীয় টেস্টে হারের ভ্রুকুটি বাংলাদেশের সামনে। তৃতীয় দিনের শেষে তারা এখনও ৪২ রানে পিছিয়ে। অথচ তারা ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টও ৭ উইকেটে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।