নিউজিল্যান্ডকে এক হাত নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের ক্লাস নেওয়ার পরে বোলারদেরও খুব পিটলেন প্রোটিয়া তারকাকা। তবে এটা কি ভারত ও পাকিস্তানের জন্য বিপদের ঘণ্টা, বিশেষজ্ঞরা নাকি এমনটাই সন্দেহকরছেন।
আটটি দল,যারা ইতিমধ্যেই আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২-এর সুপার-12-এ জায়গা করে নিয়েছে,তারা এই মুহূর্তে নিজেদের ফাইনাল প্রস্তুতি সারতে ব্যস্ত রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত রয়েছে। বর্তমানে গ্রুপ-১ দলের সঙ্গে গ্রুপ-২ দলের প্রস্তুতি ম্যাচ চলছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচে জিতেছে ভারত, অন্যদিকেনিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে পাকিস্তান তাদের অনুশীলন ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে।
আরও পড়ুন… ‘আরে আজ তো মারার মেজাজই নেই,’ স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ল সূর্যকুমারের স্বীকারোক্তি
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত,পাকিস্তান,দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ গ্রুপ-২ তে রয়েছে। অনুশীলন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে তা পাকিস্তান ও ভারতের জন্যও বিপদের ঘণ্টা বলেই অনেকে মনে করছেন।
ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ১০০ রানের মধ্যে আটকে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো দল ১৭.১ ওভারে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে যায়। এদিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ ৩টি উইকেট নিয়েছেন এবং ওয়েন পার্নেল ও তাবরেজ শামসি নিয়ে ছিলেন দুটি করে উইকেট। এদিনের অনুশীলন ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন মার্কো ইয়ানসন,আইডেন মার্করাম ও কাগিসো রাবাদা। কিউই দলকে ১০০রানই করতে দেয়নি তারা।
আরও পড়ুন… T20 WC-এ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রানে হার! লজ্জার নজির গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এই প্রস্তুতি ম্যাচে রাবাদা একটি ওভার বল করেন এবং চার রানে এক উইকেট নেন। লুঙ্গি এনগিডি এবং এনরিখ নরকিয়া বাদে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য সব বোলারই সঠিক ইকোনমি রেটে বোলিং করেছিলেন। কিউয়ি দলের হয়ে মার্টিন গাপ্টিল ২৩বলে ২৬রান করেন এবং তিনি সেরা স্কোরার হয়েছেন। তিনি ছাড়াও গ্লেন ফিলিপস ১৮ বলে ২০ রানএবং মাইকেল ব্রেসওয়েল যথাক্রমে ১১ বলে১১রান করে নিজের অবদান রাখেন।
বাকি সব কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। অন্যদিকে,৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১.২ওভারেই ১০০রান করে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার দলের স্কোর যখন ৬৬ রান তখন তাদের প্রথম উইকেটের পতন হয়। ইনিংস শুরু করে রিজা হেন্ডরিক্স ও রিলি রোসু। হেন্ডরিক্স ২৭ রান করে আউট হন। রোসু অপরাজিত ৫৪ রান এবং মার্করাম অরাজিত ১৬ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।