বাংলা নিউজ > ময়দান > ফের বিতর্কে কলকাতা লিগ! রেফারিং থেকে পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন

ফের বিতর্কে কলকাতা লিগ! রেফারিং থেকে পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন

বিতর্কে কলকাতা লিগ। ছবি: টুইটার

খারাপ মাঠে খেলা দেওয়া নিয়ে অসন্তোন উগড়ে দেন ক্লাব কর্তারা। আইএফএ সচিব আবার প্রশ্ন তুলে দিলেন ফুটবলারদের খেলোয়াড়ি মানসিকতা নিয়েই। পঞ্চম ডিভিশনের খেলায় পর পর দু’দিনে তিন ফুটবলার মারাত্মক জাম হয়েছেন। ফলে সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়েছে আইএফএর উপর।

শুভব্রত মুখার্জি: করোনার কারণে গত দুই বছর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি কলকাতা লিগের। তার উপর কমেছে জৌলুস। প্রথম ডিভিশন যে মিডিয়ার লাইমলাইটটা পায় পঞ্চম ডিভিশনে তার ছিটেফোঁটাও থাকে না। এই বছর কলকাতা লিগের আসর ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে নামাতে সক্ষম হয়েছে আইএফএ। সেই লিগের কোনও ডিভিশনের কোন‌ও ম্যাচের কার্যত কোনও প্রচার নেই। তবে এর মধ্যেও কলকাতা লিগের পঞ্চম ডিভিশনের এক ম্যাচকে ঘিরে দানা বাঁধল বিতর্ক। রেফারিং থেকে পরিকাঠামো সব কিছু নিয়েই উঠে গেল প্রশ্ন।

বর্ষার মরশুমের মধ্যেই চলছে লিগ। সেখানে যে মাঠে ছিল এদিনের ম্যাচ সেই মাঠকে নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পাশাপাশি চোট, পাঁচটি লাল কার্ডে ম্যাচে উত্তেজনার মুহূর্ত তৈরি করে দেয়। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে ফুটবলারকে পাঠাতে হয় হাসপাতালে! প্রসঙ্গত সোমবার দুই ফুটবলারের চোট লাগে। খারাপ মাঠে খেলা দেওয়া নিয়ে অসন্তোন উগড়ে দেন ক্লাব কর্তারা। আইএফএ সচিব আবার প্রশ্ন তুলে দিলেন ফুটবলারদের খেলোয়াড়ি মানসিকতা নিয়েই। পঞ্চম ডিভিশনের খেলায় পর পর দু’দিনে তিন ফুটবলার মারাত্মক জাম হয়েছেন। ফলে সমস্ত ক্ষোভ এসে পড়েছে আইএফএর উপর। মাঠের বেহাল দশা মেনে নিয়েও আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, সুষ্ঠুভাবে খেলাটাই নাকি হয়নি!

কলকাতা ময়দানের রেঞ্জার্স মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল অরুণোদয় স্পোর্টিং এবং ক্যালকাটা ইউনাইডেট ক্লাব। সেই ম্যাচেই ক্যালকাটা ইউনাইটেডের দুই ফুটবলার আহত হয়েছেন। সুদীপ আহিরের কোমরে গুরুতর চোট লেগেছে। ঠিকমতো হাঁটতেই পারছে না নবম শ্রেণির ছাত্র। মাঠ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই এক্স-রে করা হয়েছে তার। মঙ্গলবার রিপোর্ট পাবেন তারা। এরপর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

খুব বাজেভাবে ট্যাকল করা হয়েছিল সুদীপকে ফলে পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পান তিনি। তার কোমরে এখনও যন্ত্রণা রয়েছে। দলের গোলরক্ষক পার্থ আদক তার ডান চোখের তলায় চোট পেয়েছেন। ফুলে রয়েছে তার চোখ। ফলে ভাল করে দেখতে পাচ্ছে না দশম শ্রেণির পড়ুয়া। পার্থকে ব্যান্ডেলের দক্ষিণ নলডাঙা গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অব্যবস্থার মধ্যে খেলা চললে অভিভাবকরা ছেলেদের আর মাঠে পাঠাতে চাইবেন না বলেই আশঙ্কা ক্লাব কর্তাদের। ফলে লিগে দল নামানোই কঠিন হতে পারে। পাশাপাশি আইএফএর নয়া সচিব অর্নিবাণ দত্ত মাঠ খারাপ মেনে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা নিয়ে। তার মতে ম‌্যাচ সঠিকভাবে খেলা হলে কি পাঁচটা লাল কার্ড দেখাতে হত?

বন্ধ করুন